ইসলামিক ডেস্ক: কালেমায়ে তাওহিদ হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এটি তাওহিদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের স্বীকৃতি। এটি পরকালে আমলের পাল্লা ভারী করবে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা কিয়ামত দিবসে আমার উম্মতের একজনকে সব সৃষ্টির সামনে আলাদা করে এনে উপস্থিত করবেন।তিনি তার সামনে ৯৯টি আমলনামার খাতা খুলে ধরবেন। প্রতিটি খাতা দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।তারপর তিনি প্রশ্ন করবেন, তুমি কি এগুলো থেকে কোনো একটি (গুনাহ) অস্বীকার করতে পারো? আমার লেখক ফেরেশতারা কি তোমার ওপর জুলুম করেছে? সে বলবে, না, হে রব! তিনি আবার প্রশ্ন করবেন, তোমার কোনো অভিযোগ আছে কি? সে বলবে, না, হে আমার রব! তিনি বলবেন, আমার কাছে তোমার একটি সওয়াব আছে। আজ তোমার ওপর এতটুকু জুলুমও করা হবে না।তখন ছোট একটি কাগজের টুকরা বের করা হবে। তাতে লেখা থাকবে, ‘আমি সাক্ষ্য প্রদান করি যে আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল।তিনি তাকে বলবেন, দাঁড়িপাল্লার সামনে যাও।সে বলবে, হে রব! এতগুলো খাতার বিপরীতে এই সামান্য কাগজটুকুর কী আর ওজন হবে? তিনি বলবেন, তোমার ওপর কোনো জুলুম করা হবে না। মুহাম্মদ (সা.) বলেন, তারপর খাতাগুলো এক পাল্লায় রাখা হবে এবং ওই টুকরাটি আরেক পাল্লায় রাখা হবে। ওজনে খাতাগুলোর পাল্লা হালকা হবে এবং কাগজের টুকরার পাল্লা ভারী হবে। আর আল্লাহ তাআলার নামের বিপরীতে কোনো কিছু ভারী হতে পারে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৩৯) সুতরাং মুসলমানদের উচিত, প্রতিদিন বেশি বেশি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করা।কয়েক মিনিটে এই কালেমা এক শবার পড়া যায়। প্রতিদিন কমপক্ষে এক শবার এই কালেমা পাঠ করা উচিত।মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।