অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থানকে ঘিরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আজ শনিবার (২৯ জুলাই) সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় রাজধানীর গাবতলী থেকে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ বহু নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ আমান গাবতলীর এসএ খালেক বাসস্ট্যান্ডে আসেন ঠিক বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে। তাঁর সঙ্গে আসেন বেশকিছু নেতাকর্মী। তিনি আসামাত্রই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্লোগান নিয়ে আমান উল্লাহ আমানকে ঘিরে ধরেন। তখন পুলিশও আমান উল্লাহ আমানকে ঘিরে ধরে। সে সময় আমান উল্লাহ আমানের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের পুলিশ আটক করে। এসময় চলে ধাক্কাধাক্কি। তখনও আমান উল্লাহ আমান দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছিলেন।এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমান উল্লাহ আমানকে ঘিরে ধরে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয়। তখন সেখান থেকে এক বিএনপির কর্মীকে আটক পুলিশ। পরে তাকে যুবলীগ কর্মীদের কাছে দিয়ে দেয়। এসময় এক পুলিশ সদস্য আমানকে এখান থেকে সরে যেতে বলেন। আমান পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে নিরাপত্তা চাই। আমরা তো অশান্তি করতে চাই না। শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে চাই। আমাদের কেন গ্রেপ্তার করছেন?’জবাবে, আমানের সঙ্গে কথা বলা পুলিশ তাকে বলেন, ‘এখান থেকে আপনি চলে যান। এখানে থাকার অনুমতি নেই। অনুমতি ছাড়া আপনারা এখানে দাঁড়াতে পারবেন না। অনুমতি নিয়ে আসেন ডিএমপি থেকে। তারপর এখানে আপনাদেরকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে। এখানে আপনাদের অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হবে না।’পরে পুলিশ চলে গেলে আমান বলেন, ‘আমাদের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে আমার সঙ্গে আসা সব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের জন্য এসেছিলাম। ’বিএনপির এই নেতার বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকে। এরপর আমানকে পুলিশ সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাস্তার দিকে নিয়ে যায়। তখন আমানউল্লাহ আমান অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাস্তায় শুয়ে পড়েন। শুয়ে পড়ে গোঙাতে থাকেন। এরপর আমানকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।আমানকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। পরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। অবস্থান কর্মসূচির জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা গাবতলীতে জড়ো হতে শুরু করে। এরপর পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের চেয়ার-মাইক তুলে নিয়ে যায় এবং অনেকের মোবাইল ফোন চেক করে।