মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ:টেকনাফ প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নাজিরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন নাজিরপাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৬ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ অনুমান ২৩.৪০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে রফিক আহমদ নামে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি তার বসত ঘরের শয়ণকক্ষে সিলিং এর উপরে একটি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তার ভেতরে মাদকদ্রব্য ইয়াবা মজুদ রয়েছে মর্মে জানায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তির বসত ঘর তল্লাশী করে সর্বমোট ১,২৮,০০০ (এক লক্ষ আটাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় রফিক আহমদ (৪২), পিতা-নুরুল ইসলাম, সাং-নাজিরপাড়া, ওয়ার্ড নং-০৮, ইউনিয়ন-সদর, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার এবং আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী দ্রুত পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তির নিকট থেকে জানা যায়। আটককৃত মাদক কারবারী জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্র। তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘ দিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের বড় চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহপূর্বক মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে অত্যন্ত কৌশলে আর্থিক লাভের জন্য ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিভিন্ন পন্থায় নিজেদের হেফাজতে রেখে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল মর্মে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।