নিউজ ডেস্ক : রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম আরও ৫০ পয়সা বাড়ল। রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবেন ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা।তবে প্রবাসী আয়ের প্রতি ডলারের বিপরীতে আগের নির্ধারিত দাম ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা পাওয়া যাবে।সোমবার (২৬ জুন) বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন। তিনি বলেন, বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা রপ্তানি আয়ের ডলারে ১০৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছি। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবস থেকে ডলারের নতুন এ দর কার্যকর হবে। রপ্তানি আয়ের ডলার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এই সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রোববার (২৫ জুন) আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১০৮ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে ১০৮ টাকা ৯০ পয়সায়। এটা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার। এর আগে গত মাসে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সায় উঠেছিল।আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে, তার অন্যতম শর্ত হলো ডলারের বিপরীতে টাকার মান নির্ধারণে বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এটাকে আইএমএফ স্ট্যান্ডার্ড বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বাজারে যে দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে, তার চেয়ে এখনো এ দর কম। পর্যায়ক্রমে দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।