চট্টগ্রাম প্রতিবেদক: কোররবানির জন্য পছন্দের পশু কিনতেই হবে। তাই পশুর হাটে যাওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও দৃষ্টি রাখছেন ক্রেতারা।বিভিন্ন অ্যাগ্রো ফার্মের সঙ্গে চলছে যোগাযোগ।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে,অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চট্টগ্রামে ১৩৯টি অ্যাগ্রো ফার্মের তথ্য রয়েছে।আর চট্টগ্রাম বিভাগেই রয়েছে ২৪ হাজার ২৭৩টি ফার্মের পশুর ছবি ও নানান তথ্য।নগরীর বায়েজিদ এলাকায় এশিয়ান গ্রুপের কর্ণধার এম এ সালাম প্রতিষ্ঠিত এশিয়ান অ্যাগ্রো ফার্মে ৩৫০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরীর ইউনিক্যাম অ্যাগ্রো লিমিটেড-এ ১০০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া চৌধুরী গ্রুপের চৌধুরী র্যাঞ্চ অ্যাগ্রো, মাফ সুজ লিমিটেডের মাফ অ্যাগ্রো লিমিটেড, ক্লিপটন গ্রুপের অজি ডেইরি অ্যান্ড অ্যাগ্রো, বোয়ালখালীর শ্রীপুর খরন্দীপের এনকেআরএল অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, পটিয়ার শিকলবাহা এলাকার শাহ আমানত অ্যাগ্রো, মইজ্জারটেকের এফএ অ্যান্ড অ্যাগ্রো, তাজউয়ার অ্যাগ্রো, আরবিস অ্যাগ্রো ফার্ম, রাজ অ্যাগ্রো, চাটগাঁইয়া অ্যাগ্রো, সাজেদা অ্যাগ্রো, সারা অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড সহ নগরীতে ৪০-৪৫টি অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসা করছে বলে জানিয়েছেন মালিকরা। আলীম অ্যাগ্রো’র মালিক মো. সাইদুর রহমান জানান, নগরীতে গত কয়েক বছরে গড়ে ওঠা অ্যাগ্রো ফার্মের প্রায় ৮০ শতাংশ খামারি কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাইরে থেকে গরু এনে মোটাতাজা করে বিক্রি করেন। ব্রিডিং না করলে এই ব্যবসায় লাভ করা কঠিন।জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, শহরে যেসব খামার আছে, তাদের অনেকে এক অথবা দুই বছর বয়সি গরু এনে মোটাতাজা করে কোরবানির জন্য বিক্রি করছেন। এদিকে নগরীর দশটি স্থায়ী-অস্থায়ী গরু ছাগলের বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোগে গড়ে ওঠা বাজারেও বিক্রির জন্য আনা হয়েছে পশু। শুক্রবার (২৩ জুন) ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা সমাগম বাড়বে এবং বিক্রি জমে উঠবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।চসিকের স্থায়ী ৩টি পশুর বাজার- সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। অস্থায়ী বাজারগুলো হলো- ৬নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কর্ণফুলী গরু বাজার (নূর নগর হাউজিং অ্যাস্টেট), ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের মাঠ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ওয়াজেদিয়া মোড়, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আউটার রিং রোড সিডিএ বালুর মাঠ।সাধারণত সরাসরি বাজার থেকে কোরবানির পশু নগদ টাকায় কিনতে হয়। এতে টাকার নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে ভয়ে থাকেন। এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে দুটি পশুর হাটে ‘ক্যাশলেস’ বা নগদবিহীন লেনদেন করা যাবে। এসব হাটে নগদ টাকার পরিবর্তে কার্ড কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে পশু কেনা যাবে। নগরের সাগরিকা ও নুর নগর হাউজিং অ্যাস্টেট এলাকার কর্ণফুলী পশুর বাজারে ৫০ কোটি টাকা ডিজিটাল লেনদেনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, ইতিমধ্যে অনেক খামারির ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। যাদের ব্যাংক হিসাব নেই, তারা হাটে এসে খুলতে পারছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র, পেশার প্রত্যয়নপত্র, ছবি, নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি দিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যাংক হিসাব খোলা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জহুরুল হুদা বলেন, কোরবানির বাজারকে ঘিরে স্মার্ট লেনদেনের ব্যবস্থা থাকবে। সবাইকে জাল টাকা পরীক্ষা করে দেওয়া হবে। পশুর বাজার যতদিন চলবে, ততদিন বুথ থাকবে।