নিউজ ডেস্ক: স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা কিংবা সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল নয়, বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসির পরবর্তী গন্তব্য আমেরিকার মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি। এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। পাশাপাশি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার কারণে যেসব সুবিধা পাবেন মেসি, জেনে নেওয়া যাক একনজরে।বার্সেলোনা সমর্থকদের স্বপ্ন চূর্ণ করে ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার জন্য অপেক্ষা করেও সুফল পাননি তিনি। এমনকি সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবেও সম্মত হননি মেসি। শেষ পর্যন্ত তার গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামি।ইন্টার মায়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তিতে অর্থের পরিমাণ আল হিলালের প্রস্তাবের চেয়ে অনেকটাই কম। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে গেলে অন্যান্য সুবিধা পাবেন মেসি। জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম বিবিসি, গোল ডটকম ও মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে মেসি পাবেন অ্যাডিডাস ও অ্যাপলের মতো বিশ্বখ্যাত দুই কোম্পানির সঙ্গে কাজের সুযোগ। মায়ামির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তা অব্যাহত থাকবে।দ্য অ্যাথলেটিকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এমএলএস লিওনেল মেসিকে ইন্টার মিয়ামিতে প্রলুব্ধ করতে সহায়তা করার জন্য একটি চুক্তি করেছে। দ্য অ্যাথলেটিকের সাংবাদিক পল টেনোরিও জানান, মেসির সঙ্গে একটি বড় চুক্তি করতে যাচ্ছে ইন্টার মিয়ামি। চুক্তির অংশে অ্যাপলের সঙ্গে মুনাফা ভাগাভাগি এবং সেই সঙ্গে অ্যাডিডাসের শেয়ারের একটি অংশ এই প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত হবে। এমএলএস ও অ্যাপল মেসিকে আয়ের একটি অংশ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে। নতুন গ্রাহকরা তাদের স্ট্রিমিং প্যাকেজ এবং এমএলএস সিজন সাইন আপ করলে তার লভ্যাংশ পাবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। অ্যাডিডাস মেসিকে একটি মুনাফা ভাগাভাগি চুক্তির প্রস্তাব দিচ্ছে বলে জানা গেছে।মেজর লিগ সকারের টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্বের একটা অংশও পেতে পারেন মেসি। অবসরের পর ইন্টার মায়ামি ক্লাবের মালিকানার একটা অংশ হতে পারে তার নামে। ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা এবং ২০২৬ এর ফুটবল বিশ্বকাপও আয়োজন করতে চলেছে আমেরিকা। কাতার বিশ্বকাপের আগে মেসি জানিয়েছিলেন, শেষ বিশ্বকাপে নামতে চলেছেন। যদিও বিশ্বকাপ শেষে অবসর প্রসঙ্গে পরিষ্কার করে কিছু জানাননি। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপেও কি খেলতে দেখা যেতে পারে মেসিকে! তার যা ফিটনেস, অসম্ভবও নয়। সব দিক চিন্তা-ভাবনার পরই ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি।মেসির ইন্টার মিয়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে তার পরিবার। পারিবারিকসহ বেশ কয়েকটি বিষয় চিন্তা করেই সাউদার্ন ফ্লোরিডায় যাচ্ছেন মেসি। সেখানে মেসির নিজস্ব সম্পত্তি ও বাড়ি রয়েছে। এছাড়া সেখানকার লাইফস্টাইলও তার সঙ্গে মানানসই, অর্থাৎ ফ্লোরিডার সংস্কৃতি লাতিন আমেরিকার মতোই।