সুরুজ তালুকদার (বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি) : বাকেরগঞ্জ উপজেলার তুলাতলী নদীর ভাঙন ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের স্থায়ী জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষার জন্য দেড় কিলোমিটার অংশে ভেরি বাঁধ নির্মান করা হয়েছে। ভেরি বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন স্থানীয় পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়া। গত দুই মাস ধরে নদীর ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশে ভেরি বাঁধ নির্মান কাজ কয়েকদিন পূর্বে সম্পন্ন করা হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই ভেরি বাঁধের নির্মান কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া বলেন, প্রতিবছর পৌরসভার অর্থায়নে ভেরি বাঁধ সংস্কার করা হলেও বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বাঁধের বিভিন্নস্থান ভেঙে যায়। এতে করে পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা প্রতিবছর দীর্ঘসময় পানি বন্দি হয়ে পরেন। এবার তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য টেকসই ভেরি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সরেজমিনে ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তুলাতলী নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শহর ও পৌর এলাকা। প্রতিবছর নদীর অব্যাহত ভাঙনের কবলে পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডের অসংখ্য বাসিন্দারা তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরেছেন। অতিসম্প্রতি পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া তুলাতলী নদীর অব্যাহত ভাঙনের কবলে বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হতে শুরু করেছে।
পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মোকলেচুর রহমান বলেন, একটি মাত্র ভেরি বাঁধের কারণে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রতিবছর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এবছর পৌর মেয়রের নির্দেশনায় টেকসই ভেরি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণস্থানে পাইলিং দেওয়া হয়েছে। নদীর পানির চাঁপে যেন নতুন করে নির্মিত ভেরি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য নদীর অংশে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্পের মাধ্যমে পৌর মেয়রের তত্ত্বাবধায়নে সাহেবগঞ্জ থেকে রুহিতারপাড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার নতুন ভেরি বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই ওই ভেরি বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।