২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপি কয়টি আসন পেয়েছিল, সে কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, বিএনপি অনেক কথা বলে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা তো মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল; আর একটা উপ-নির্বাচনে। অর্থাৎ ৩০০ সিটের মধ্যে মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল। কাজেই আমরা দেশের উন্নয়ন করে মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করে জনগণের ভোটেই বারবার সরকারে এসেছি।
এ ব্যাপারে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছে। দেশের মানুষ কিন্তু ভোট সম্পর্কে সচেতন। কেউ যদি ভোট চুরি করে, এদেশের মানুষ কিন্তু মেনে নেয় না। আপনাদের মনে আছে, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ক্ষমতায় থেকে একটা নির্বাচন করেছিল, জনগণের ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিল। জনগণ কিন্তু মেনে নেয়নি। মাত্র দেড় মাসের মাথায় খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল, জনগণের আন্দোলনের ফলে। ভোট চোরকে কখনো জনগণ গ্রহণ করে না। ’
অনাবদী জমিগুলোকে ফেলে না রেখে ফসল উৎপাদন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। ফলস উৎপাদন করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবে না, কারো মুখাপেক্ষী হবে না। আমরা নিজের ক্ষেতে ফসল ফলাব, নিজের দেশকে উন্নত করব। কারো কাছে হাত পেতে চলব না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা সম্মানের সঙ্গেই বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। ’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে আটকা পড়া উর্দুভাষী নাগরিকদের জন্য ফ্লাট নির্মাণ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান। সেই সঙ্গে কালশী বালুর মাঠকে বিনোদন পার্ক করারও ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে নির্মিত ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী সার্কেলের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মিত হয়েছে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত ৩.৭০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। একনেক ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়।
এক হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ আর্মি (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড)।
প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষরের মতো। এ প্রকল্পে যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করার লক্ষ্যে আগের চার লেন বিশিষ্ট সড়কগুলোকে ছয় লেনে উন্নীত করা হয়েছে।