প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি : মোঃ মাসুদ আলম বিপিএম (বার) পিপিএম তিনি সম্প্রতি মাদারীপুরের পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন। যোগদান করে তিনি ৫ থানার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে জরুরী মিটিং করে বলেন অতীতে যেইভাবে থানাগুলো চলেছে এখন একটু ব্যতিকর্ম ভাবে চলবে । থানায় জিডি, মামলা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ কোনো বিষয়ে টাকা পয়সা নিবেন না । মানুষ যেন সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্য রাখবেন। এছাড়াও তিনি পুলিশ সুপারের রুমের দরজা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেন । এতে করে গরীব, দুঃখী অসহায় মানুষগুলো খুব সহজে পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে তাদের মনের কথাগুলো বলতে পারছে । পুলিশ সুপার তাদের কথাগুলো কাছ থেকে মনোযোগ দিয়ে শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে । এতে করে মাদারীপুর জেলাসহ অন্যান্য জেলার সচেতন মহলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার কার্যালয়সহ জেলার ৫ থানাকে দালাল মুক্ত করতে পেরেছেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম ধরে রাখার লক্ষে মাদারীপুর জেলার ৫ উপজেলার জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে দিনরাত কাজ করেছেন তিনি। ২০২২ সালে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি । এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে জঙ্গিবাদ, মাদক, ইভটিজিং এবং বাল্য বিয়ে নিয়ে সচেতন করতে ৫ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে । এরই অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে উৎরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী- শিক্ষকদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় করেন শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে লেখাপড়ার মান উন্নয়ন, ছাত্রীদের বাল্যবিয়ে রোধে ভূমিকা রাখা, মাদককে না বলা এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চারসহ সাামজিক নানা বিষয়ে সচেতন করতে বক্তব্য রাখেন। এসময় ইন্টারনেট-ফেসবুক ব্যবহারে সচেতন হতে সতর্ক করে দেন ওসি আনোয়ার হোসেন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার ৫ থানায় আসা বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান, এখন আর থানায় আসলে বাইরে বসে থাকা লাগে না। ওসি স্যারদের রুমের দরজা সব সময় খোলা থাকে। ওসি স্যাররা সবার সাথে কথা বলেন এবং ভালো পরামর্শ দেন। এতে লাগে না কোনো টাকা- পঁয়সা।
তারা আরো বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার নাকি অনেক ভালো, ধৈর্য সহকারে মানুষের কথা শুনেন, মানুষকে সঠিক পরামর্শ দেন, আমি একটি মামলা করেছি, মামলা করতে কোন টাকা পয়সা লাগেনি, আমরা আরো শুনেছি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম বিপিএম (বার) পিপিএম একজন সৎ লোক । তার মতো এমন পুলিশ সুপার যদি সব জেলায় থাকতো তাহলে মানুষের সেবা পেতে আর কষ্ট হতো না ।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সৎ ও সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম বিপিএম (বার) পিপিএম স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ৫ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিরা স্কুল-কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা বিষয়ে সচেতন করছি এবং তাদেরকে দিক- নির্দেশনামূলক পরামর্শ দিচ্ছি । আমরা উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সরাসরি শিক্ষার্থীদের সাথে এভাবে সভা করবো।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম বিপিএম (বার) পিপিএম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যোগদান করার পর থেকে সর্বাধিক চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য । মানুষ যেন থানায় এসে কোনো রকম হয়রানি শিকার না হয় সেই দিকে কঠোর মনিটরিং করি। আমি পরকালের কথা চিন্তা করি মানুষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে কি হবে। আমি সরকার থেকে যে টাকা পাই তাই দিয়ে আমাদের ভালোভাবে চলে যায়। মানুষ যেন হারানি না হয় সঠিক সেবা পায় তার ব্যবস্থা করেছি।
উল্লেখ্য, সৎ ও সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম বিপিএম (বার) পিপিএম এর নির্দেশনা অনুযায়ী মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শামীম হোসেন, রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন,শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ডাসার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাসানুজ্জামান তাদের মেধা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সংঘর্ষ-মারামারী, মাদক, ইভটিজিং ও গ্যাং কালচার মুক্ত এবং চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন।