নির্ভিক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রাষ্ট্রপতির দৌঁড়ে

নির্ভিক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রাষ্ট্রপতির দৌঁড়ে
আবু নোমান : বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এর প্রবীন রাজনীতিবিদ মিরসরাই-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে  আলোচনায় রয়েছেন।রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রথম দিকে বেশ কিছু নাম শোনা গেলেও বর্তমানে এই তালিকা ছোট হয়ে এসেছে। ছোট তালিকায় তিন জনের মধ্যে একজন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম বারের মতো চট্টগ্রামের কোন নেতা রাষ্ট্রপতি হওয়ার আলোচনায় থাকায় বৃহত্তম চট্টগ্রাম শহ মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ, সর্বস্তরের জনসাধারন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশাল মিডিয়ায় উচ্ছাস দেখা দিয়েছে। ২২ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন কে মূল্যায়ন করতে পারেন বলে আশাবাদি মিরসরাই উপজেলা সহ চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা
 মোশাররফ হোসেন ১২ জানুয়ারি ১৯৪৩ সালে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ধুম ইউনিয়নে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এস রহমান ও পাঞ্জেবুনেছার ঘরে জন্ম গ্রহন করেন।১৯৬৬ সালে তিনি লাহোর থেকে খনিজ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সাহসিকতার জন্য বাঙালি ছাত্রদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে ৬দফার ডাক দিলে পূর্ব পাকিস্তানি ছাত্রদের নিয়ে মোশাররফ হোসেন আন্দোলনে যুক্ত হন।কক্সবাজার হোটেল সায়মনে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ক্যান্ডেললাইট নৈশ্যভোজের আয়োজন করেন মোশাররফ হোসেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পপতিদের প্রথম সারির একজন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।তিনি ১৯৮৩ সালে গ্যাসমিন লিমিটেড নামে একটি কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৪ সালে কক্সবাজারে তার পিতার প্রতিষ্ঠিত হোটেল সায়মনকে সম্প্রসারণ করে ব্যবসার পরিধি বিদ্ধি করেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরির জি.ই.সি মোড়ে পেনিনসুলা চিটাগং নামক আন্তর্জাতিক মানের চার তারকা হোটেলের চেয়ারম্যান। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। চট্টগ্রামের সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে তিনি গেরিলাযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সৈন্যদের চট্টগ্রামে রওনা দেয়ার খবর জানতে পেরে তৎকালিন এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে মিরসরাই শুভপুর ব্রিজের কাঠের অংশে অগ্নি সংযোগ করেন ফলে ২৬টি পাকিস্তানি সৈন্যবাহী সাঁজোয়া যান চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে বেশ সময় নষ্ট হয়।তিনি আরো অচি মিয়ার ব্রিজ,হিঙ্গুলি ব্রিজ, বাড়বকুন্ড কেমিক্যাল কমপ্লেক্স ব্রিজ ধ্বংসে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে ৮ ডিসেম্বার মিরসরাই হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধে শ্রেষ্ঠ অবদান রাখায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন কে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। মোশাররফ হোসেন ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের ৯ জানুযারী পর্যন্ত গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব  পালন করেন।এছাড়াও তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাক এবং ১৯৯২,১৯৬৬,২০০৪,২০১২ সালে সভাপতি এবং বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব  পালন করছেন। এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর গড়ে উঠার মূল কারিগর ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।২০১০ সালে প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের বৃহত্তম কৃত্তিম লেক মহামায়া উদ্ভোন করনে তখন তার মেঝ ছেলে আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেলের সহায়তায় ম্যাপসহ চরের জায়গাটি প্রধানমনন্ত্রীকে দেখান যা বর্তমানে মিরসাই,সিতাকুগু ,সোনাগাজী সহ ৩৩ হাজার একরের দক্ষিণ এশিয়ার সব চেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন