নিউজডেস্ক : গেল কয়েক বছরে স্বর্ণের দাম অনেকাংশে বেড়েছে। ভূরাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক মন্দা, ডলারের দাম, মুদ্রাস্ফীতিসহ বাড়তি চাহিদা এই মূল্য বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে।ইন্ডিয়া টাইমসের এক কলামে বলা হয়েছে, গেল বছরের শুরুতে লন্ডনের স্পট মার্কেটে এক আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮২৯ দশমিক ৮৮ ডলার। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর মার্চে তা বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ৬৯ দশমিক ৮৮ ডলারে।গত পাঁচ বছরে ভারতে স্বর্ণের দাম অন্তত ৯০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে সেদেশে সোনার দাম ১৪ শতাংশেরও বেশি বাড়ে। রুপির দর পড়ে যাওয়া এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার ওপর প্রভাব ফেলে। সেদেশে দেশীয় ফিউচার মার্কেটে বছরের প্রথম তিন মাসে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮ হাজার ৫০ রুপি থেকে বেড়ে ৫৫ হাজার ৫৫৮ রুপিতে গিয়ে দাঁড়ায়। সেপ্টেম্বরে তা ৪৯ হাজার রুপি হলেও বছর শেষে তা ছিল ৫৫ হাজার ১৭ রুপি। সোনার দাম মূলত নির্ভর করে বিদেশি মানদণ্ড, স্থানীয় চাহিদা, ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার দরের ওঠানামা সরকারি বিভিন্ন নীতির ওপর। গেল বছর ভারতে ডলারের বিপরীতে রুপির দাম পড়তে থাকে। প্রতি ডলারের জন্য খরচ করতে হয় ৮৩ দশমিক ২৬ রুপি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা নীতি মুদ্রার ওপর প্রভাব ফেলে। এর পর থেকে ভারত তার নিজস্ব বাজারে স্বর্ণের চাহিদা মেটায় আমদানির মাধ্যমে। দুর্বল মুদ্রা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
ভারতে গত কয়েক বছর ধরে স্বর্ণ ব্যবসা বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক মুনাফা দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে সোনার দাম বেড়েছে ৯০ শতাংশ। ২০০৩ সালে প্রতি ১০ গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণের মূল্য ছয় হাজার রুপি থেকে এই পর্যন্ত ৮০০ শতাংশ বেড়েছে।রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, সোনার দাম গত আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেড়েছে। প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৮৮০ দশমিক ৩৩ ডলার অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২২ সালের ৯ মে’র পর থেকে এটি সর্বোচ্চ। ইউ এস গোল্ড ফিউচারের দাম বেড়েছে এক হাজার ৮৮৩ দশমিক ৬০ ডলার অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।