মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে আলোচিত দাদন হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮।
জানা যায়, র্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আক্তারের নেতৃত্বে রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে মাদারীপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, শিবচর উপজেলার পৌর এলাকার পূর্ব শ্যমাইল এলাকার আনোয়ার শেখের ছেলে রাকিব শেখ (১৭) ও একই এলাকার হালিম শেখের ছেলে সাগর শেখ (১৭)।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শ্যামাইল গ্রামের মৃত আদম চোকদারের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী দাদন চোকদারকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুপুরে প্রতিপক্ষ সেলিম শেখের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কুপিয়ে হত্যা করে সেলিম শেখসহ ২০ জনের একটি দল।এসময় কুপিয়ে তার এক পা শরীর থেকে বাম পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় আসামিরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। ওই দিন বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরের দিন (২৪ নভেম্বর) সকালে দাদনের ভাই পান্নু চোকদার বাদী হয়ে নজরুল শেখ, সেলিম শেখসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার পলাতক আসামি ছিলেন রাকিব ও সাগর। ঘটনার পর তারা আত্মগোপন করেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দিয়ে দীর্ঘ ১ বছর পলাতক থাকেন। ঘটনাটি র্যাবের নজরে আসলে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প তদন্ত শুরু করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান জানতে পেরে রবিবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে রাকিব ও সাগরকে গ্রেপ্তার করে। রাতে তাদেরকে শিবচর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।