নিউজডেস্ক : পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি গ্রাহক পর্যায়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না।সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।তিনি বলেন, আমরা মনে হয় না এটা (পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো) নিয়ে শঙ্কা আছে। কারণ গ্রাহক পর্যায়ে এটার কোনো প্রভাব পড়বে না। গ্রাহক পর্যায়ে আদৌ দাম বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা তা বিইআরসির ওপর নির্ভর করছে। আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে না। গ্রাহক পর্যায়ে যাতে স্বস্তি দেওয়া যায় সেই বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করব। এখন যেটা (দাম বৃদ্ধি) হয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে নয়।প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে বিইআরসি গ্রাহক পর্যায়ে নয়, জেনারেশন পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলছে। আমাদের এখানে জেনারেশন করতে গিয়ে মূল্য বেড়ে গেছে, তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। সেজন্য মূল্যটা সমন্বয় করার জন্য বিইআরসি যাচাই-বছাই করে ঘোষণা দিয়েছে।নসরুল হামিদ আরও বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে কতটুকু প্রভাবে পড়বে, এখন তো বলতে পারছি না। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ আমরা নিরচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। দামের সাথে কিছুটা সমন্বয় করতে চাই। এখন যেটা হয়েছে, সেটা হয়তো হবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে বিইআরসি গ্রাহক পর্যায়ে বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করবে।জাতীয় নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে আমি বাড়ানোর কথা তো বলিনি একবারও। নির্বাচনের এক বছর নাকি দুই বছর আগে, সেটা বিষয় নয়, এখন সারা বিশ্বেই দাম সমন্বয় হচ্ছে। কারণ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দাম প্রভাবিত হচ্ছে। ৭ ডলারের গ্যাস ৩০ ডলারে কিনতে হয়।বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরবরাহ এখন আমরা মোটামুটি অ্যাডজাস্ট করে ফেলেছি। আমরা আশাবাদী, মোটামুটি এখন ভালো পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি। যে ঘাটতিটা ছিল তা আস্তে আস্তে পূরণ হয়ে যাচ্ছে।উল্লেখ্য, সোমবার পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। বিদ্যুতের পাইকারি দাম ঘোষণা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে বিইআরসি।