স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকেই বিদায় হয়েছে জিম্বাবুয়ের। তবে সিকান্দার রাজার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভুলে যাওয়ার মতো নয়।বলে-ব্যাটে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে সেমিফাইনালে যাওয়ার হাতছানি পাওয়া বাংলাদেশ দলের কেউই নেই এই একাদশে।রোববার (১৩ নভেম্বর) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরেপা জিতে নেয় ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন দলটির হয়ে চারজন ক্রিকেটার জায়গা করে নিয়েছেন এই একাদশে। রানার্স-আপ পাকিস্তান থেকে আছেন দুইজন ক্রিকেটার। আইসিসির ঘোষিত ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল ইলেভেন’ একাদশের শুরুতেই আছেন ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ১৪৭.২২ স্ট্রাইকরেট ও ৪২.৪০ গড়ে ২১২ রান করেন তিনি। দুই নম্বরে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার টুর্নামেন্টজুড়ে ছিলেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে চ্যাম্পিয়ন করার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৪৫ গড়ে করেছেন ২২৫ রান। উইকেটের পেছনে আউট করেছেন নয়বার।তিন নম্বরে আছেন ভারতীয় ব্যাটার বিরাট কোহলি। এশিয়া কাপের আগে পারফরম্যান্স খরায় ভূগতে থাকা এই ব্যাটার এশিয়া কাপ থেকে ফিরতে থাকেন ফর্মে। বিশ্বকাপে এসে করেন বাজিমাত। একের পর এক পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে করেছেন বেশ কয়েকটি রেকর্ডও। ছয় ম্যাচে চার ফিফটিতে ৯৮.৬৬ গড় ও ১৩৬.৪০ স্ট্রাইক রেটে করেন আসরের সর্বোচ্চ ২৯৬ রান। চারে থাকা ভারতীয় ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবও বিশ্বকাপজুড়ে ছিলেন দুর্দান্ত। ঝড়ো ইনিংস খেলে তিনি উঠে আসেন র্যাংকিংয়ের এক নম্বরেও। ব্যাট হাতে ৬ ম্যাচে তিন ফিফটির পাশাপাশি ১৮৯.৬৮ স্ট্রাইকরেট ও ৫৯.৭৫ গড়ে ২৩৯ রান করেছেন তিনি। পাঁচে থাকা নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১৫৮.২৬ স্ট্রাইকরেটে করেন ২০১ রান।ছয়ে আছেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। দলকে বিশ্বকাপে তোলার পাশাপাশি প্রথম রাউন্ড থেকে সুপার টুয়েলভে কোয়ালিফাই করতে তিনি রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ৮ ম্যাচে ১৪৭.৯৭ স্ট্রাইক রেট ও ২৭.৩৭ গড়ে ২১৯ রান করে আসর শেষ করেন তিনি। বল হাতে নেন ১০ উইকেট। সাতে থাকা পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শাদাব খান ব্যাট হাতে ২৪.৫০ গড়ে ৯৮ রানের পাশাপাশি বল হাতে নেন ১১ উইকেট। দলকে ফাইনালে তুলতে রাখেন বড় অবদান।আটে থাকা বোলার স্যাম কারান ফাইনালে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্ট সেরাও হন। আসরজুড়ে দারুণ খেলতে থাকা এই বোলার ওভারপ্রতি ৬.৫২ রান ও ১১.৩৮ গড়ে ১৩ উইকেট শিকার করেন। নয়ে জায়গা করে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার অ্যানরিক নরকিয়া ৫ ম্যাচে ওভারপ্রতি মাত্র ৫.৩৭ রান ও ৮.৫৪ গড়ে ১১ উইকেট শিকার করেন। দশ নম্বরে আছেন চ্যাম্পিয়ন দলের পেসার মার্ক উড। চোটের কারণে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। তবে এর আগেই ১২ গড়ে ৯ উইকেট শিকার করেন তিনি। একাদশ প্লেয়ার হিসেবে থাকা পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদিও টুর্নামেন্টজুড়ে ছিলেন দারুণ। সাত ম্যাচে ওভারপ্রতি ৬.১৫ রান দিয়ে ১১ উইকেট শিকার করেন তিনি। দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে থাকা ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট হাতে ১৩১.৯৫ স্ট্রাইকরেটে ১২৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নেন তিনি ৮টি উইকেট।