নিউজ ডেস্ক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী বলেছেন, সবাইকে রাজনীতি করতে হবে তা নয়, কিন্তু রাজনীতি সচেতন হতে হবে। কেননা দেশটা আমাদের।দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে গেলে সংবিধান নিয়ে আমাদের ভালোভাবে জানাশোনা থাকতে হবে। এবং সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে, দেশপ্রেমকে জাগ্রত রাখতে হবে।শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে বাংলাদেশ ইয়ুথ সামিট-২০২২ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে অনেক সংগঠন মানুষের জন্য কাজ করেন। তাদের সবার কাছেই আমি একটা কথা বলি। আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ আছেন। সকলের আয় সমান না। ফলে, সবার জীবনধারার মধ্যে আমরা একই সুযোগ-সুবিধার সুষম বণ্টন দেখিনি। কাজেই, তাদের সুযোগের সুষম বণ্টনের বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আজ পুরো বিশ্বকে ব্যাপক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশের যুব-সমাজ কি করতে পারে, আমাদের সেটি নির্ধারণ করতে হবে। এ বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতন করতে হবে। আমরা যদি অঞ্চলভিত্তিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি, তাহলে আগামী দিনে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব। পাশাপাশি সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি করতে হবে।তিনি আরও বলেন, আজকে তথ্য-প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। সোশাল মিডিয়াকে কীভাবে কল্যাণে কাজে লাগাতে পারি, সে ব্যাপারে আমাদের যুব সমাজের সচেতন হতে হবে।স্পিকার আরও বলেন, পোস্ট কোভিড আমাদের অসংখ্য নতুন চ্যালেঞ্জ এসেছে। সে চ্যালেঞ্জ উত্তরণে আপনাদের ভাবতে হবে, ইকোনমিক রিকভারির কথা আমরা ভাবছি, সেখানে নারী, পুরুষ সমগ্র মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন আমরা বলছি, প্রাকৃতিক হোক বা অন্য মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। না হলে আগামী দিনে বিশ্বকে অফার করার কিছুই থাকবে না।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তোমরা নিজেদের তৈরি করবে। আগামী দিনে তোমরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তোমরা বিজ্ঞান ক্লাবের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু করতে পারো। এ লক্ষ্যে আমার মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরণের সহায়তা দেব।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, আজকে আমাদের এই যে ৭০ শতাংশ তরুণ। আমাদের তরুণদের আজকে শপথ নিতে হবে কীভাবে অসহায় মানুষের সেবা করতে হবে। তিনি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আগামী দিনেও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দেন।অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী। বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম প্রমুখও।বাংলাদেশ ইয়ুথ সামিটে রাজনীতিতে ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. শিহাব উদ্দিন শাহীন, ভলান্টিয়ার্স অপরচ্যুনিটিস ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পেয়েছেন মিথুন দাশ কাব্য। মাইনরিটি রাইটস নিয়ে কাজ করে পুরস্কৃত হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সংগঠন পথচলা ফাউন্ডেশন, ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের মুনমুন সরকার।