তিনি বলেছেন, যে ক্যাটাগরিতে ৩০ ইউনিটের কম খরচ হবে তাদের খরচের ২৫ শতাংশ চার্জ করা হবে। তারা এখনও ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি পান।
৩১ ইউনিটের ওপরে এবং ৬০ ইউনিটের নিচের শ্রেণীর গ্রাহকদের মোট খরচের ৪০ শতাংশ চার্জ করা হয়। তারা ৬০ শতাংশ ভর্তুকি পান। প্রকৃত খরচের মাত্র অর্ধেক ৬১ শতাংশের ওপর ও ৯০ শতাংশের নিচে ইউনিটের বিভাগ থেকে নেওয়া হয়। এতে ভর্তুকি দেওয়া হয় ৫০ শতাংশ।
নতুন শুল্ক সংশোধনের পরেও ৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এখনও ভর্তুকি পাচ্ছেন। শুল্ক সংশোধনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্রাহকদের উৎসাহিত করার পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
দ্বীপরাষ্ট্রে বিদ্যুতের শুল্ক বাড়ার হার গত ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। খবরে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে লোকসানে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলন ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডকে (সিইবি) টিকিয়ে রাখতেই বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের ওপর শুল্ক।
শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ অনেকাংশেই সিইবি নির্ভর। কিন্তু বর্তমানে এই সংস্থার লোকসান পৌঁছেছে মোট ৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলারে। ঘাটতি মেটাতে পাবলিক ইউটিলিটি কমিশন বরাবর বিদ্যুতের শুল্ক ৮০০ শতাংশ বাড়াতে আবেদন করেছিল সিইবি। সে আবেদনে সাড়া দিয়েই কমিশন শুল্কের পরিমাণ ২৬৪ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বিদ্যুতের শুল্ক বাড়লে স্বাভাবিকভাবে গ্রাহক পর্যায়ে তার দামও বাড়বে। শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২ দশমিক ৫০ শ্রীলঙ্কান রুপি। সরকারের নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী এখন থেকে সেখানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পৌঁছাবে ৮ রুপিতে।