কিন্তু, এর অনুমোদন ও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে স্পিকারের আলোচনা করতে হয়। যে কারণে বিষয়টি সামনে আসতে দেরি হয়। এখনও পদত্যাগ পত্রটি নিয়ে আইনি আলোচনা চলছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গোতাবায়া সিঙ্গাপুর অবতরণের পর এটি পাঠিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। সেটি গ্রহণ করা হবে কিনা, তাও অস্পষ্ট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও ডেকান হেরাল্ড’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া গোতাবায়ার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী খুশির জোয়ার বয়ে যায়। কলম্বোয় বিক্ষোভকারীরা আতশবাজি পুড়িয়ে উদযাপন করেন।
এদিকে, মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছার পর গোতাবায়া রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে সিঙ্গাপুর সরকার নিশ্চিত করেছে, লঙ্কান প্রেসিডেন্ট তাদের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। বরং ব্যক্তিগত সফরে রয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রেফতার থেকে দায়মুক্তি থাকায় সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজ দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া। এরপরও তিনি পদত্যাগ করেন।
পালিয়ে বুধবার ভোরে সামরিক প্লেনে চড়ে দেশ থেকে মালদ্বীপে পাড়ি জমান গোতাবায়া। মালদ্বীপেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। সেখান থেকে সৌদিয়া এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে পৌঁছান।