আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষ। ৬ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূমিকম্পে পাকতিকা প্রদেশে ব্যাপকভাবে ভূমিধস ও ঘর–বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় হতাহতের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির। পাকতিকা প্রদেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিন হাজিফি বিবিসিকে ভূমিকম্পে হতাহতের তথ্য জানিয়েছেন। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আইয়ুবি বলেন, পাহাড়ি এলাকাগুলো থেকে হতাহতের প্রকৃত তথ্য পেতে সময় লাগবে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিধ্বস্ত এলাকাগুলোয় উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসরঞ্জাম ও খাবার পাঠানো হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোরে এই ভূমিকম্প হয়। আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খোস্তের রাজধানী শহর খোস্ত থেকে আনুমানিক ৪৪ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। জায়গাটি পাকিস্তানের সীমান্তসংলগ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও আফগান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি–ভিডিওতে ভূমিকম্পে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘর ও স্ট্রেচারে আহত ব্যক্তিদের নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
২০০২ সালের পর আফগানিস্তানে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প। ওই বছর ২৫ মার্চ ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
এই ভূমিকম্পে আফগানিস্তান ছাড়া পাকিস্তান ও ভারতের ৫০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকা কেঁপে উঠেছে বলে ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্পকেন্দ্র জানিয়েছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ভূমিকম্পন অনুভূত হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।