নিউজ ডেস্ক : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাই করার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণে সাড়া দেননি ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী ও আন্দালিব রহমান পার্থ।রোববার (১৯ জুন) ১৩টি দলকে কারিগরি টিমসহ আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানায় নির্বাচন কমিশন।দলগুলোর মধ্যে কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম ও আন্দালিব রহমান পার্থের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি অংশ নেয়নি। এছাড়া ১০টি দল অংশ নিলেও কেউ কারিগরি বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসেনি।কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়া বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে কমিশনের চিঠি হয় নাই। এই চিঠিটা নির্বাচন কমিশনের হয় নাই, কমিশনের সচিবের চিঠির মতো হয়েছে। এতে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি।ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিচয়ই হলো না, বিয়ের আলাপের মতো বিষয়টি। আগে তো পরিচয় হতে হবে। ওনাদের সাথে আমরা পরিচিতই হতে পারলাম না। তারা আমাদের ইভিএম যাচাইয়ের প্রস্তাব দিল, এটা কোনো কথা হলো?বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কারণ জানতে ড. কালাম হোসেনের ফোনে বেশ কয়েকবার কল দিয়ে তা খোলা পাওয়া যায়নি।বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমরা আগেই বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। এই বিষয়টা ঠিক না করে ইভিএম নিয়ে আলাপ করে লাভ নাই। এর ফলে আমাদের সময় নষ্ট এবং নির্বাচন কমিশনেরও সময় নষ্ট। ইভিএম কেন আরও ভালো মেশিন আনলেও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই কথা সবাই জানে।বৈঠকে উপস্থিত দলগুলো হলো—জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় আকারে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে সবার মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এরই অংশ হিসেবে নিবন্ধিত ৩৯টি দলকে তিনভাগে ভাগ করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।আগামী ২১ জুন বিএনপিসহ ১৩টি দল এবং ২৮ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৩টি দলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।ইতিমধ্যে ইভিএম নিয়ে দেশ সেরা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা ইভিএম দেখার পর বলেছেন, এই মেশিন নির্ভরযোগ্য।ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিনের প্রয়োজন।