আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিজেদের তৃতীয় ও সবচেয়ে অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী সাগরে নামালো চীন। শুক্রবার (১৭ জুন) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় সাংহাইয়ের জংনান শিপইয়ার্ড থেকে এ রণতরীটি চালু করা হয়।দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।সিজিটিএন জানিয়েছে, নতুন রণতরীটির নামকরণ করা হয়েছে দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় প্রদেশ ফুজিয়ানের নামে। দেশীয়ভাবে ডিজাইন করা রণতরীটি যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলোকে চীনের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নের বার্তা পাঠাচ্ছে।শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রণতরীটি পানিতে নামানো হয়। অনুষ্ঠানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (সিএমসি) ভাইস চেয়ারম্যান শু কিলিয়াং উপস্থিত ছিলেন। তিনি রণতরীটি গ্রহণ করা চীনা নৌবাহিনীর একটি ইউনিটের কাছে শংসাপত্র হস্তান্তর করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নৌবাহিনীর কয়েক ডজন সদস্য জাহাজটির সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে চীনের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।৮০ হাজার টনের ফুজিয়ানে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ফ্লাইট ডেক এবং একটি ক্যাটাপল্ট লঞ্চ সিস্টেম (স্বল্প পরিসর থেকে উড্ডয়ন পদ্ধতি) যুক্ত রয়েছে। এটি ২০১৯ সালের শেষের দিকে চালু হওয়া শানডং এবং ১৯৯৮ সালে ইউক্রেন থেকে কেনা লিয়াওনিং-এর সঙ্গে যুক্ত হবে। বর্তমানে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ ধরনের ১১টি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তালিকায় চীনের ঠিক পরেই রয়েছে ব্রিটেনের নাম, যাদের বিমানবাহী রণতরীর সংখ্যা দুটি।তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের কর্তৃত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। এ উত্তেজনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলছে চীন, যার সর্বশেষ নজির এই ফুজিয়ান। তাইওয়ান একটি স্ব-শাসিত গণতন্ত্রিক দেশ। তবে চীন তাইওয়ানকে তার নিজস্ব ভূখণ্ড বলে মনে করে এবং দ্বীপটিকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনতে সব সময় শক্তি প্রয়োগ করে আসছে।