সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফেরেন সেন্টু। এরপর থেকে তাদের এক বোন জামাই তাকে পৈত্রিক সম্পত্তির ব্যাপারে প্রবাহিত করতে কু-পরামর্শ দিতেন। এ কারণে সেন্টু প্রায়ই তাদের ভাবি নাজমাসহ অন্যান্যদের সঙ্গে বাজে আচরণ-গালাগালি করতেন। পারিবারিক আরও বিভিন্ন ঝামেলা ও বোন জামাইর পরামর্শে প্রভাবিত হয়ে নাজমাকে হত্যা করেন সেন্টু। ঘটনার পরপরই তাকে আটক করেছে পুলিশ।
নাজমা তিন সন্তানের একজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। মেজ সন্তান পঞ্চম ও ছোট সন্তান বাসায় পড়াশোনা করেন। তাদের চাচারা আরও জানান, বড় ভাইর মৃত্যুর পর তার ভাতিজা-ভাতিজিদের জন্য তাদের মা ছিল। এখন তিনিও নেই। তাদের ছোট ভাতিজা মা-মা করে চিৎকার করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ছে। বড় দুই সন্তানও মায়ের শোকে কাতর। তাদের দেখার এখন কেউ নেই। এতিম সন্তানদের কান্নাকাটি কে থামাবে, প্রশ্ন করেন তারা।
এদিকে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম। রোববার (৫ জুন) নিহতের ময়নাতদন্ত করা হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। সেন্টু আপাতত পুলিশ হেফাজতে আছে।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। এ কারণেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। তবুও আমরা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি। যে মামলাটি প্রক্রিয়াধীন, তার আসামি আপাতত একজন।