নিউজ ডেস্ক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পলাতক পিকে হালদারের অপরাধ যেহেতু বাংলাদেশে, তাই তাকে বিচারের জন্য বাংলাদেশই আগে চাইবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকেলে এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।আইনমন্ত্রী বলেন, বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার যেহেতু বাংলদেশে মূল অপরাধটা করেছে তাই তার বিচারের জন্য বাংলাদেশ আগে চাইবে।তিনি বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে এসডিজি প্রোগ্রাম হাতে নেওয়ার অনেক আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। পিকে হালদারকে ধরা হয়েছে, তার ব্যপারে যে অভিযোগ আনা হয়েছে- এখন তাকে ধরার পরে সেই অভিযোগের বিচার করে তার পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার সম্ভবনা আছে।আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে তাকে ফিরিয়ে আনা। এবং যেই মুহুর্তে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে, তখন থেকে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা কিন্তু খুব কঠিন। আরাফাত রহমান কোকোর সময় যে ব্যপারটা ছিল, তখন আমরা যাদের সঙ্গে কোলাবরেট করেছিলাম তাদের জন্য সম্ভব হয়েছে।আজকে ফিরিয়ে আনাটা আরও সহজ হবে আমার বিশ্বাস। তার কারণ হচ্ছে সারা পৃথিবীতেই কিন্তু অ্যান্টি মানি লন্ডারিং বা মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর আইন করা হয়েছে। যেটা আমাদের দেশেও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিলে অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।পিকে হালদারকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আমি এ ব্যপারে অ্যাডভান্স কিছু বলতে চাই না। নিশ্চই আমরা তাদের সঙ্গে আলাপে বসব। আমাদের এখানে যেহেতু মূল অপরাধটা করা হয়েছে, আমরা তাকে আগে চাইবো সেটাই স্বাভাবিক।