জানা যায়, দেশের বাইরে থেকে আমদানিকৃত যন্ত্রাংশের পাশাপাশি দেশি নিম্নমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে স্থানীয়ভাবে সংযোজন করে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো তৈরি করা হয়। এতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়।
নগর এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর ২০১৫ সালে নিষিদ্ধ হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। পাশাপাশি মহাসড়কেও অটোরিকশাসহ কম গতির যানবাহন নিষিদ্ধ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়।
সূত্র বলছে, যান্ত্রিক গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হলেও রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও বিধান নেই ট্রাফিক পুলিশের কাছে। ফলে মহাসড়কে দ্রুতগতির বড় বড় যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে অটোরিকশাও। মহাসড়কে নিষিদ্ধ হলেও উপজেলা পর্যায়ে এসব যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই মহাসড়ক ব্যবহার করতে হয় এসব গাড়িকে।
চালকদের দাবি, মহাসড়কের ওপর দিয়ে এসব যানবাহন চলতে না দিলে তাদের জীবন থমকে যাবে। অনেক সময় বিকল্প রাস্তা না থাকায় মহাসড়কের ওপর দিয়েই এসব যানবাহন চালাতে হয়।
হাটহাজারীর গুমানমর্দ্দন এলাকার আলতাব হোসেন বলেন, অটোরিকশা, টমটম গাড়িগুলোতে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগে। আবার মানুষের প্রয়োজনের সাথে সাথে কর্মসংস্থানের বিষয়টিও জড়িত। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা না করে এসব যানবাহন বন্ধ করা ঠিক হবে না।
কক্সবাজার সড়কে চলাচলকারী ঈগল পরিবহনের চালক আব্দুল মোতালেব বলেন, ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার জন্য গাড়ি চালানোই দায়! হঠাৎ করেই সামনে চলে আসে, গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কষ্ট হয়। যার কারণে হরহামেশাই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। কোনও আইনি ব্যবস্থা না থাকায় দিন দিন বাড়ছে এসব গাড়ির পরিমাণ।