সামাজিক মাধ্যম টুইটারে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। ‘হুমকি চিঠি’র বিষয়ে আলোচনা করতেই ইমরানের এই তলব। তবে এর আগে দেশটির সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন ইমরান। অন্যদিকে তার অভিযোগের ভিত্তিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি সংস্থা বা কর্মকর্তা পাকিস্তান সরকারকে কোনো চিঠি দেয়নি।
এদিকে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির আগেই দেশটির রাজনীতি নাটকীয় মোড় নিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান মিত্রজোট মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) যোগ দিয়েছে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে পার্লামেন্টে ভোট দিতে চুক্তিও করেছে দল দুটি। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরানের গদি বাঁচানোর লড়াই ক্রমেই জটিল হচ্ছে। আর ঘোরতর এ বিপদের দিনে একে একে সহযোগীরা তাকে ছেড়ে যাচ্ছেন। হাত মেলাচ্ছেন সরকারের পদত্যাগ ও পুনর্নির্বাচনের দাবিতে গড়ে উঠা বিরোধী জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) সঙ্গে।
ইমরানের পিটিআই সরকারকে উৎখাত করতে বিরোধীরা যেভাবে জোটবদ্ধ হচ্ছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, এমকিউএম বিরোধী দলের সঙ্গে চুক্তি করায় দেশটির জাতীয় পরিষদে পিডিএমের সদস্য সংখ্যা এখন ১৯৯ জনে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ইমরান সরকারের সদস্য সংখ্যা কমে ১৪২-এ দাঁড়িয়েছে। জোটসঙ্গীদের নিয়ে ক্ষমতায় আসার সময় পিটিআইয়ের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭৯ জন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে জিততে কমপক্ষে ১৭২ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। অবশ্য ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এখন পিটিআইয়ের কোনো সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন নেই পিপিপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইমরান তার মেয়াদ শেষ করতে পারবেন, নাকি তার আগেই বিদায় নিতে হবে- সেটা ৩ মার্চের পরই হয়তো জানা যাবে।