আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ২৭তম দিন চলছে। এই যুদ্ধে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।প্রায় চার সপ্তাহে রুশ হামলায় ইউক্রেন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটি ছেড়ে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এতে হতাহত হয়েছেন বহু লোক।সোমবার (২১ মার্চ) পেজ সিক্স জানিয়েছে, যুদ্ধ থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত প্রেমিকা আলিনা কাবায়েভার কাছে অনুরোধ করেছেন তার বান্ধবীরা। আলিনাকে যুদ্ধ থামাতে মস্কো যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তাদের চাওয়া, আলিনা যেন প্রেমিক পুতিনের মন গলিয়ে যুদ্ধ থামিয়ে দেন।সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় তোপের মুখে পড়েন সাবেক জিমন্যাস্ট আলিনা। চেঞ্জ ডট অর্গ নামে একটি ওয়েবসাইটে আলিনাকে সুইজারল্যান্ড থেকে তাড়াতে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যাতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার সই পড়েছে। ওই পিটিশনে কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে, বর্তমানে যুদ্ধ সত্ত্বেও সুইজারল্যান্ড পুতিনের শাসনামলের একজন সহযোগীকে আশ্রয় দিয়ে চলেছে।ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর কারণে আলিনাকে সুইজারল্যান্ড পাঠানো হয়েছে, এমন খবর সামনে আসার পর ওই পিটিশন দাখিল করা হয়। অবশ্য পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে আলিনাকে নিজের প্রেমিকা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও দ্য গার্ডিয়ানের মতো বেশকিছু গণমাধ্যম তাকে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রেমিকা দাবি করে থাকে।নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে পেজ সিক্স জানিয়েছে, আলিনার বান্ধবীরা মনে করছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট কারো পরামর্শ শুনছেন না। তাই প্রেমিকা যদি তাকে এ ব্যাপারে অনুরোধ করে, তিনি হয়তো তার কথা শুনতেও পারেন।সূত্রটি আরো জানায়, বর্তমানে পুতিনকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। আলিনা তার কাছে পৌঁছাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এমনকি তিনি জানেন না, সন্তানদের সঙ্গে থাকার জন্য আবার বাইরে যেতে সক্ষম হবেন কিনা। এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে পেজ সিক্স এক প্রতিবেদনে জানায়, রুশ প্রেসিডেন্ট তার প্রেমিকা ও সন্তানদের একসময়ের নিরপেক্ষ ইউরোপীয় দেশে লুকিয়ে রেখেছেন।অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী জিমন্যাস্ট আলিনার চার সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে পুতিনের সন্তানও রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেননি তারা। জানা গেছে, এই শিশুদের সুইজারল্যান্ডে জন্ম হয়েছে এবং তাদের সবার সুইস পাসপোর্ট রয়েছে। অন্য একটি সূত্র জানায়, আলিনার বেশ কয়েকটি নাম এবং পাসপোর্ট রয়েছে।