‘নো-ফ্লাই জোন’ নিয়ে যে হুমকি দিলেন পুতিন 

‘নো-ফ্লাই জোন’ নিয়ে যে হুমকি দিলেন পুতিন 
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের আকাশে কোনো দেশ ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করলে সেটাকে চলমান যুদ্ধে অংশগ্রহণ হিসেবে মনে করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘এ বিষয়ে যেকোনো পদক্ষেপ আমরা সেই দেশের সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ হিসেবে বিবেচনা করব’।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ায় সামরিক আইন জারির বিষয়ে গুজব উঠলেও ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ায় সামরিক আইন জারি করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।নো-ফ্লাই জোন বলতে বোঝায়, একটি এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু বিমান যেকোনো কারণেই হোক উড়তে পারবে না। ইউক্রেনের মতো একটি সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এর অর্থ হচ্ছে, ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানো রুশ বিমানগুলোকে সেখানে উড়তে না দেওয়া।ইউক্রেনে অনেক বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হলেও রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করাসহ সংঘর্ষে জড়াতে ইচ্ছুক নয় ন্যাটো জোট।  ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেনের ওপর একটি নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা জোটের জন্য বিকল্প নয়।ন্যাটোর মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সম্মত হয়েছি যে, ইউক্রেনের আকাশসীমার ওপর দিয়ে ন্যাটোর বিমান চালানো উচিত নয়। ইউক্রেনের ভূখণ্ডেও ন্যাটো সেনারা যাবে না’।  ন্যাটো জোটের এমন পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনকে ‘দুর্বল’ ও ‘বিভ্রান্ত’ সম্মেলন আখ্যায়িত করে বলেন, ‘ন্যাটো ভেবেচিন্তে ইউক্রেইনের আকাশ বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত দিল। আজ থেকে যেসব মানুষ মরবে, তারা আপনাদের (ন্যাটো) কারণে মরবে। মরবে আপনাদের দুর্বলতার কারণে, আপনাদের বিচ্ছিন্নতার কারণে’।  প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রুশ সেনারা। রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে শনিবার (৫ মার্চ) দশম দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন