তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের জন্য ‘কঠিন ভারসাম্য রক্ষার কাজটি হবে’ যুদ্ধ থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সরানোর জন্য কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা। তাকে আরও ভয়ংকর কিছু করার জন্য সুযোগ দেওয়া মোটেও ঠিক হবে না। ফ্রাঙ্ক গার্ডনা বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, নিজের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। কেউ তার সঙ্গে কথা বলছেন না। ’৪০ কিলোমিটারজুড়ে রুশ সেনাদের গাড়িবহরআন্দ্রেই ফেদোরভ আল-জাজিরাকে বলেন, মস্কো তার প্রতিবেশীর ওপর পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি দুই দেশের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে আশাবাদী। পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনা হওয়া উচিত। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে রুশ বাহিনী দেশটির একের পর এক শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার সপ্তম দিনের মতো যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত ১৩৬ জন নিহত হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেন থেক অন্তত ৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ পাশের দেশগুলোতে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা। ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা পশ্চিমারা বললেও ইউক্রেনের পাশে এসে যুদ্ধে নামেনি। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।