কলকাতা: সঙ্গীত জগতে পর পর নক্ষত্রের পতন। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে পর রাতেই মুম্বাইতে প্রয়াত হন আরেক বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী।ফলে দুই বাঙালি শিল্পীর প্রয়াণে বাংলায় শিল্পীমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।একদিকে এদিন বাংলায় অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আর একদিন পর বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ে বাপ্পি লাহিড়ীর শেষকৃত্যে সম্পন্ন হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সন্ধ্যা দিদির সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল। তার মৃত্যুতে আমি আমার অগ্রজকে হারালাম। ’এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃতদেহ আনা হয় রবীন্দ্রসদনে। সেখানেই শায়িত থাকবেন বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। রবীন্দ্রসদনে তার নশ্বর দেহকে শেষ সম্মান জানাচ্ছেন বাংলার বিশিষ্টজন থেকে সাধারণরা। পাশাপাশি রবীন্দ্রসদনের একতারা মঞ্চে রাখা হয়েছে বাপ্পি লাহিড়ীর প্রতিকৃতি। সেখানেও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সকলে।এই দুই প্রয়াত বাঙালি সঙ্গীতশিল্পীকে সকলেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। কারো হাতে ফুলের তোড়া আবার কারুর হাতে মালা অর্থাৎ যে যার মন নানাভঙ্গীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী।
তবে বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃতদেহ রবীন্দ্রসদন থেকে বাইরে আনা হবে। এবং সেখান থেকে সকলেই পায়ে হেঁটে কালীঘাটের কেঁওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাবেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নশ্বর দেহকে। সেখানেই সন্ধ্যা ৬টায় গান স্যালুটেরই মাধ্যমে বিদায় জানানো হবে ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে পূর্ণ মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।বিগত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন তিনি। কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। করোনায়ও আক্রান্ত হন। তা সেরে গেলে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তার কোমরে অস্ত্রোপচারও করা হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তার রক্তচাপ কমতে থাকে, শুরু হয় পেটে ব্যথাও। এরপর অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হলে তাকে ক্রিটিক্যাল ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। শেষপর্যন্ত সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার দিকে প্রয়াত হন প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী।অপরদিকে মুম্বাইয়ের বিচক্যান্ডি হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। দুই সঙ্গীতশিল্পীর প্রয়াণে বাংলায় শিল্পীমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।