নিজস্ব প্রতিনিধি : টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলা কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতে নানা বিষয়ে রেকর্ড হয়েছে। ১৯৮৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার দায়রা জজ আদালত যাত্রা শুরু করেছিল।অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলা ২৯ কর্ম দিবসের মধ্যে রায়ের জন্য রাখা হয়েছে বলেন কক্সবাজার দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড্যাভোকেট ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলা কক্সবাজার আদালতে ২৯ কর্ম দিবসে রায়ের জন্য রাখা হয়েছে। যা কখনো এই আদালতে হয়নি। মামলার অভিযোগপত্রে তালিকাভুক্ত মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় ৮৩ সাক্ষী ও আদালতে ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আগে কখনো হয়নি। ১৬৪ ধারা ১২ জন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। তাও এই আদালতে কখনো হয়নি। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা করে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং মাদক আইনে এসব মামলা হয়। টেকনাফ থানায় করা দুই মামলায় নিহত সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়। আর রামু থানায় মাদক আইনে করা মামলায় আসামি করা হয় নিহত সিনহার অপর সফরসঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে।২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। একইদিন পুলিশের করা মামলা তিনটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।