নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী।১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান।তার পিতা মনসুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন রসায়নবিদ। বগুড়া ও কলকাতায় শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করার পর জিয়াউর রহমান পিতার কর্মস্থল করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন তিনি।জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ শেষে আবার পেশাদার সৈনিক জীবনে ফিরে গেছেন। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনও স্মরণ করে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবেও তার পরিচিতি সর্বজনবিদিত। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও দিকনির্দেশনা। তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি দেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শাহাদতবরণ করেন দেশপ্রেমিক এই রাষ্ট্রনায়ক।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে শহীদ জিয়াউর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় মহান নেতা। শহীদ জিয়া প্রবর্তিত ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার অবিনাশী দর্শন। শহীদ জিয়ার জন্মদিনে তার প্রদর্শিত পথেই আমরা স্বৈরাচারী অগণতান্ত্রিক শক্তির থাবা থেকে মুক্ত হবো ও গণতন্ত্র ফিরে পাবো। আর এর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ‘গণতন্ত্রের মা’ গৃহবন্দী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য জোর দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের হারানো মৌলিক ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধার করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
কর্মসূচি: জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (বুধবার) বেলা ১১টায় বিএনপির নেতাকর্মীরা শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিস্থলে ফাতেহা পাঠ ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে ২১জানুয়ারি বেলা আড়াইটায় কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এছাড়া সারা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের ইউনিটগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।