স্থানীয় নেতাকর্মীরাও মনে করেন, তৈমূর আলম আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের প্রার্থী বলে নগরীতে জোরালো প্রচার ছিল। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিনা হায়াত আইভীর শিবির থেকেও বলা হয়েছে, তিনি শামীম ওসমানের প্রার্থী। অনেকে তা বিশ্বাসও করেছেন। এ কারণে ভোটারদের একটি অংশের সমর্থনও হারান তিনি।
তৈমূরের প্রচারে সক্রিয় ছিলেন, এমন এক নেতা বলেন, তার গণসংযোগ কৌশল সঠিক ছিল না। দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া জীবনসংকটে থাকলেও তা নিয়ে তিনি জোরালো বক্তব্য দেননি। সরকারবিরোধী অনেক জাতীয় ইস্যু আছে, যেগুলো সামনে আনলে নির্বাচনী রাজনীতিতে তিনি এগিয়ে থাকতেন, সেটিও তাঁর প্রচারে তেমনভাবে আসেনি। বরং তিনি স্থানীয় সমস্যা নিয়েই বেশি কথা বলেছেন। অথচ স্থানীয় অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন আইভী, যার কারণে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, তৈমূরের সংসদীয় আসন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ)। ওই আসনে নির্বাচন করেন বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনির। মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এবং পরাজয়ের কারণে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে জোরালো দাবিও তুলতে পারবেন না তৈমূর।
তৈমূরের পরাজয়ের পেছনে তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দীপু। তিনি বলেন, ‘প্রথমত প্রার্থী হিসেবে তৈমূরের চেয়ে আইভী অনেক শক্তিশালী ছিলেন। দ্বিতীয়ত, প্রথম থেকে তৈমূরের অবস্থান পরিষ্কার বোঝা যায়নি। একবার তিনি বললেন নাগরিক পরিষদের প্রার্থী, কখনো বলতেন বিএনপির প্রার্থী। বিএনপি যখন মনোনয়ন দিল না, তখন বললেন জনগণের প্রার্থী। এ ছাড়া কেউ কেউ তাকে একজন বিশেষ ব্যক্তির প্রার্থীও মনে করতেন। তৃতীয়ত, নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি কী করবেন, সে বিষয়ে তার কোনো ইশতেহার ছিল না। কেন তাকে ভোট দেবে, জনগণকে তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ’