নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, ভোটারদের সমর্থন হাতির পক্ষে, আমার পক্ষে। ভোটাররা এবার পরিবর্তন চায়।প্রশাসন কতটা নিরপেক্ষ থাকে আপনারা দেখবেন। এদিকে আইডি কার্ডের জন্য রাস্তায় পুলিশ সবাইকে আটকাচ্ছে। এটা না করলে ভালো হয়। তবে বহিরাগতরা যেন না আসতে পারে।তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে কেন্দ্রে আমার এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি সেখানে যাচ্ছি। সেখানকার নেতাকর্মীরাও যাচ্ছে। আমি মনে করি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে সুষ্ঠু ভোট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে মাসদাইর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের তৈমূর এ কথা বলেন।তিনি বলেন, এখনই নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা হবে না। ভোটারদের জোয়ার আমার পক্ষে আছে। এর আগে তৈমূর আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হবেন।সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে মেয়রসহ ৩৭টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮৯ প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে সাতজন, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও নয়টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।মোট পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন ভোটার ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের ১৩৯৬টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন চারজন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলী আহাম্মদ চুনকা কন্যা ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার একমাত্র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা হাতি প্রতীকের অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। মেয়র পদে আরও পাঁচ প্রার্থী হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন উপ-পরিদশর্কের (এসআই) নেতৃত্বে রয়েছে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য। এছাড়া আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। নির্বাচনে পুলিশের ২৭টি ইউনিট স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশের মোবাইল টিম ৬৪টি, প্রতি টিমে সদস্য পাঁচজন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৪ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন আছে।নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।