নিউজ ডেস্ক : প্রয়াত ‘বহুল আলোচিত রাজনীতিক জয়নাল আবেদীন হাজারীর ৬০ শতকের মুজিব উদ্যান থাকবে অষণ্ড। এছাড়া তার সব স্থাবর—অস্থাবর সম্পদের ভাগিদার হবেন ভাতিজা, ভাতিজি ও ভাগিনা—ভাগ্নিরা।
এ চিরকুমার হাজারীর স্মৃতিরক্ষায় শৈলকুটির থাকবে অখণ্ড। জয়নাল হাজারী জীবিত অবস্থায় কোন সম্পত্তি ওয়াকফ বা অন্য কোথায়ও দান করেননি। ’এ তথ্য জানিয়েছেন একসময়ের জয়নাল হাজারীর ঘনিষ্ঠ সহচর জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ফেনী জজ কোর্টের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু।ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ার মুজিব উদ্যানে জয়নাল হাজারীকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এ জায়গা অখণ্ড রাখার জন্য তিনি মৃৃত্যুর আগে ওসিয়ত করে যান। এ জায়গাটি কোনো ধরনের ভাগাভাগি হবে না। তবে, জায়গাটি তার পরিবারের সদস্যরাই দেখভাল করবেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে ৬০ শতাংশের জায়গাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি রক্ষায় মুজিব উদ্যান করার জন্য জয়নাল আবেদীন হাজারী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে দান করেন। কিন্তু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিতে মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ না করার কারণে জয়নাল হাজারীকে আবার জায়গাটি ফেরত দিয়ে দেন।এছাড়াও শহরের বড় বাজারে তার পৈত্রিক সূত্রে মালিকীয় ৩ শতাংশ জায়গায় ভবন রয়েছে। শহরের পেট্রোবাংলায় ৩০—৩৫ শতাংশ জায়গা, রাজধানীর ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট রয়েছে। যেটি তিনি জীবিত থাকাবস্থায় ছোট বোন খোদেজা হাজারীকে দান করেছেন। রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার নামে একটি প্লট রয়েছে।আইনজীবী শাহজাহান সাজু আরো জানান, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে হাজারী ভাইয়ের সব স্থাবর—অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হবেন তার ভাই—বোন। মুজিব উদ্যান অখণ্ড থাকবে বলেও হাজারী ওসিয়ত করে গেছেন। এটি একসময় হিন্দুদের সম্পত্তি ছিল। জয়নাল হাজারীর বাবা আবদুল গণি হাজারী জায়গাগুলো কিনে নেন। পৈত্রিক বন্টকে তিনি এ জায়গাটি ভাগে পেয়েছেন।