শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ঝালকাঠি থেকে দুর্ঘটনায় নিহতদের ৩২টি মরদেহ এনে বরগুনা সদর হাসপাতালে রাখা হয়। এরপর শনিবার সকাল থেকেই বরগুনার পোটকাখালী এলাকায় গণকবর খনন শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে জানাজা শেষে একই এলাকায় দাফন শুরু হয়।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সামিয়া ও লামিয়া নামে দুই যমজ শিশুর (৪) মরদেহ শনাক্ত করা হয়। পরে মামার কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত সামিয়া ও লামিয়া বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া গ্রামের রফিক হোসেনের মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে দাদাবাড়িতে বেড়াতে আসছিল। বাকি ৩০টি মরদেহ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পোটকাখালী গণকবরে দাফনের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০। এটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে আসছিল। অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঝালকাঠি থেকেই বরগুনার চারটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় শনিবার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে ৩০ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে বরগুনা পোটকাখালী গণকবরে দাফনের কাজ চলছে। সবার ডিএনএ সংরক্ষণ করা হয়েছে।