একই সাথে জবি মিডিয়া ক্লাবের সদস্য এবং ডিআরইউ’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নাহিদকে তুলে নিয়ে সন্ত্রাস আইনের মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারে তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে জবি মিডিয়া ক্লাব।
সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আকতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এস কে রেজা পারভেজ আজ শনিবার এক বিবৃতিতে রিয়াজ চৌধুরীর ওপর যারা সন্ত্রাসী হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তাদের দ্রুত সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের মুখোমুখি করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে।প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার রাত ১০.৩০টায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন পুরাতন নিউ এইজ অফিসের সামনে অজ্ঞাতনামা দুইজন লোক মোটরসাইকেল দিয়ে পিছন দিক হতে রিয়াজ চৌধুরী বহন করা রিক্সায় ধাক্কা দেয়। এক পর্যায়ে তারা মুখে কিল-ঘুষি মেরে জখম করে এবং বলে তুই বেশি বেড়ে গেছিস। তোকে মেরে ফেলবো বলে হুমকি দেয় এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোন আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে। এ বিষয়ে রিয়াজ চৌধুরী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন।
অপরদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) নির্বাচনের আগের দিন ২৯ নভেম্বর (সোমবার) সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে যখন ছেলের খাঁজ পায়নি, তখন মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেন। নির্বাচনের দিন মঙ্গলবার বিকালে তোফাজ্জলের পরিবারের কাছে র্যাব সদস্য পরিচয়ে একজনের ফোন আসে। ওই র্যাব সদস্য তার পরিবারকে ফোন দিয়ে বলে- তার ছেলে মাদারীপুর জেলে আছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মাদারীপুর রাজৈর থানার এক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি অন্তর্ভুক্ত করে গত ২৯ নভেম্বর সোমবার ঢাকার বাসার গেটের সামনে থেকে তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানতে পারে, ২০২০ সালে মাদারীপুর রাজৈর থানায় এক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি বানিয়ে ঢাকা মোহাদপুর এফ ব্লকের রিংরোড বাসার গেট থেকে তার ছেলে আহসান হাবিব নাহিদকে (অনার্স পাস) র্যাব তুলে নিয়ে গেছে। মাদারীপুর আদালতে মামলার নথিপত্র দেখে যায়, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন (সংশোধনী ২০১৩) এর ৮/৯/১০/১১/১২/১৩ ধারা ২০২০ সালে রাজৈর থানায় মামলা করা হয়।