নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি খালেদা জিয়ার সুস্থতা চায় না, তারা চায় তিনি হাসপাতালে থাকুক, তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপি আন্দোলনের নানা ইস্যু খুঁজছে। তারা ভেবেছিল খালেদা জিয়ার ইস্যুতে তাদের কর্মীদের মাঠে নামাতে পারবে, কিন্তু বাস্তবে কর্মীরা নামেনি। তারা খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে বাড়িয়ে বর্ণনা করেও যে ইস্যু তৈরির চেষ্টা করেছিল, সেটিও ঘটেনি। কারণ খালেদা জিয়া এখানে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন, তার চিকিৎসকরা যেভাবে চায়, সরকার তা করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বিএনপি খালেদা জিয়ার সুস্থতা চায় না, তারা চায় তিনি হাসপাতালে থাকুক, তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হবে।সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করছে, বিএনপির এমন মন্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা আর পেটের অসুখ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সূচক নয়। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বহু উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের সক্ষমতা এর অন্যতম সূচক। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে কত ভালো, করোনার মধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। অনেক উন্নত দেশ যেভাবে সামাল দিতে পারেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক ভালোভাবে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের চিকিৎসকরা কত ভালো কাজ করছে এ থেকেই তা প্রমাণিত। বিএনপির মশাল মিছিল নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন মশাল মিছিল বের করে তখন জনগণ আঙ্কিত হয় এ ভেবে যে, তারা আবার কিসে আগুন দেয়, কারণ তারা বাসে, গাড়িতে, মানুষের সম্পত্তিতে আগুন দেওয়ার, অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি করে। বিএনপি পরগাছার মতো আচরণ করছে। তারা কখনো ছাত্র আন্দোলন, কখনো গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওপর ভর করে দেশে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।