নীলফামারী প্রতিনিধি : কন্যা বিদায়ের সকল প্রস্ততি শেষ। এ সময় জানা গেল বরের আরেকটি বিয়ের খবর।ফলে মুহূর্তে বিয়ে বাড়ি বিষাদে পরিণত হলো।রোববার (২১ নভেম্বর) রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়ামিস্ত্রীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী জানায়, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার চম্পাতলী মাস্টারপাড়া এলাকার অমূল্য চন্দ্র রায়ের ছেলে নিতাই চন্দ্র রায়ের (২৩) সঙ্গে তুলশী চন্দ্র রায়ের মেয়ে জয়ত্রী রানী রায়ের আশীর্বাদ ও বিয়ে রেজিস্ট্রি হয় প্রায় এক বছর আগে। সরকারি চাকরিতে টাকা লাগবে বলে বরের বাবা যৌতুক হিসেবে কনের বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। ছেলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্সে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগদানও করেন। এদিকে মেয়েকে বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কনের পরিবার। পন্ডিত ডেকে বিদায়ের দিন-তারিখ ও লগ্ন ঠিক করা হয়। ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় কনের বাবার মোবাইলে ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় ছেলে প্রতারক। সে এক সপ্তাহ আগে লালমনিরহাটে তাঁর পছন্দের মেয়েকে কোর্টে বিয়ে করেছে। এই কথা শুনে মুহূর্তে বিয়ের বাড়ির পরিবেশ পাল্টে যায়। কনের বাবাসহ আত্মীয়-স্বজন যান বরের বাড়িতে। সেখানে বিয়ের সত্যতা মিলে। পরে কনের লোকজন বরকে জোর করে তুলে নিয়ে আসেন কনের বাড়িতে। সেখানে ওই বিয়ের আসরে যৌতুকের টাকাসহ ক্ষতি পূরণের অঙ্গিকার করলে তালাক দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কনের পরিবারের অভিযোগ, বরের পরিবারের সকল শর্ত মেনে আমরা বিয়ে এবং বিদায়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। খুব কষ্ট করে বরের বাবার হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মান-সম্মান এবং মেয়ে ভবিষ্যত সবই শেষ হয়ে গেল।