নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন বিষয়ে সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন পাস হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এ কারণে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়বে।মিয়ানমার আমাদের কখনো বলেনি তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। তারা আমাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে বলে। কিন্তু আজ ৫ বছর পার হলেও মিয়ানমার তাদের কথা রাখেনি। আমরা আশাকরি আগামীতে তারা তাদের কথা রাখবে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে।শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বর্তমানে যে কুতুপালং বসবাস করছেন সেখানে ভূমি ধস, অতিবৃষ্টি ও পাহাড় ধস হয়ে মানুষ মারা যায়। তাদের মৃত্যু যাতে কমানো যায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাষানচরে নেওয়া হবে। আর এ জন্য সাড়ে ৩শ মিলিয়ন টাকা খরচ করে আবাসন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সেখানে মাত্র সাড়ে ১৮ হাজার রোহিঙ্গা গিয়েছেন। এ মাসেই বাকি রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে নিয়ে যাওয়া শুরু হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, সেখানে যাদের আমরা নিচ্ছি তারা স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন। কাউকে জোর করে নেওয়া হচ্ছে না। তারা সেখানে গেলে কিছু কাজ-কর্ম করতে পারবে। বর্তমানে যেখানে রয়েছে সেখানে অনেকেই মাদক বা অপরাধে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে। যা তাদের জন্য খারাপ আমাদের দেশের জন্য খারাপ। তবে আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে, যাতে তারা নিজ দেশে ফিরে যায়।সীমান্তে হত্যার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সরকার চায় না সীমান্তে একটি লোকও মারা যাক। এ নিয়ে মন্ত্রী, বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে আলোচনা ও বৈঠক হয়েছে। এতো কিছু হবার পরও সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এটি বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক ও ভারতের জন্য লজ্জাজনক। এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন লোক দাবি তুলেছেন সীমান্তে যেন একটি লোকও মারা না যায়। ভারত হোক আর বাংলাদেশই হোক, কোনো লোকের সীমান্তে মৃত্যু চাই না। আশাকরি ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং জনগণ একসঙ্গে কাজ করবে, যাতে আমরা মৃত্যু শূন্য সীমান্ত গড়তে পারি।এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।