বিনোদন ডেস্ক : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা পাঁচ দশক ধরে শ্রোতাদের মাতিয়ে যাচ্ছেন। পেয়েছেন দেশি-বিদেশি অসংখ্য সম্মাননা।বুধবার (১৭ নভেম্বর) প্রথিতযশা এই শিল্পীর ৬৯তম জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগী, গানসংশ্লিষ্ট কাছের মানুষ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা-শুভকামনায় ভাসছেন তিনি।কিংবদন্তি এই গায়িকা ১৯৫২ সালের এইদিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত তিনি। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজলশিল্পী হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশে তার সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রুনা। বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনিশ, ফরাসি, লাতিন ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন তিনি। পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতে তার কণ্ঠের ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ শীর্ষক গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।রুনা লায়লা ৫৭ বছরের বর্ণাঢ্য সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১২ বছরের এক কিশোরের জন্য গান গেয়ে। ১৯৬৪ সালে বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলীর অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের ‘জুগনু’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। সেই যে শুরু, এরপর গেয়েছেন অসংখ্য চলচ্চিত্রে। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও অবাক করা তথ্য হচ্ছে, নৃত্যশিল্পী হওয়ার কথা ছিল রুনা লায়লার। তিনি জানান, টানা চার বছর করাচীর বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শিখেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত গানের মাঝেই নিজেকে বেঁধে ফেলেন তিনি। গান গেয়েই বাংলাদেশের রুনা লায়লা ভারত, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। সংগীত অসামান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (একাধিকবার), দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননাসহ দেশ-বিদেশের বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা এই সংগীতশিল্পী।