আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে মাস্ক ছাড়াই আলিঙ্গন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাকালে মোদির এমন কাণ্ডে তির্যক মন্তব্য করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো।রোমে জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে একের পর এক রাষ্ট্রনেতাকে আলিঙ্গন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ভ্যাটিকানে গিয়েও পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে আলিঙ্গনবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনের মঞ্চে বিতর্কে জড়ালেন নরেন্দ্র মোদি। ওই মঞ্চে উঠে মোদি এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পরস্পর মুষ্টি-স্পর্শ করে সম্ভাষণ জানান। তারপর মোদি এগিয়ে যান গুতেরেসের দিকে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে আলিঙ্গন (বিয়ার-হাগ) করতে যান মোদি। কিন্তু তাতে তেমন সাড়া দেননি গুতেরেজ। বরং তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, গোটা বিষয়টি তার মনঃপুত হচ্ছে না।স্বভাবতই তার সঙ্গে আর নিবিড়ভাবে আলিঙ্গন-বদ্ধ হতে পারেননি মোদি। কিন্তু অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সহাস্যে প্রধানমন্ত্রী বুকে টেনে নিয়েছেন—তিনি কানাডার জাস্টিন ট্রুডোই হন বা লুক্সেমবার্গের জাভিয়ের বেটেল।মোদির এই আন্তরিকতা নজর এড়ায়নি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের। একটি সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম, ‘উষ্ণতা বাড়ছে, অস্বস্তিকর মুহূর্তে তৈরি হলো যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী নিবিড়ভাবে গুতেরেসকে আলিঙ্গন করতে গেলেন। ’ প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ব্রিটেনে যখন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তখন দূরত্ববিধির তোয়াক্কা করলেন না কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার মুখে মাস্ক কোথায়!জি-২০ সম্মেলন হোক বা জলবায়ু সম্মেলন—কোথাও মোদির মুখে মাস্ক তেমনভাবে চোখে পড়েনি। দেশে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সুযোগ পেলেই মাস্ক পরার পরামর্শ দেন, বিদেশে তার মাস্ক পরতে অনীহা কেন। তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আমজনতা অনেক সময়েই রাষ্ট্রনেতাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মাস্কহীন মোদিকে দেখে কোন বার্তা পেলেন দেশবাসী।