চাঁদপুর প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, করোনা মহামারিতে ঠিক কতোভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯০ ভাগের বেশি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা পাচ্ছি।তার মানে তারা ঝড়ে পড়েনি। এখনো অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে ভয়ে আছেন। এরফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার এখনো শতভাগ নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরও বাড়বে। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মুখরিত হয়ে উঠবে।শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, করোনার সময় যেসব অভিভাবকের একটু আর্থিক সমস্যা ছিলো তারা ছেলে-মেয়েদের কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়তো কারো কারো বাল্য বিয়ে হয়ে গেছে। যদিও বাল্য বিয়ে হওয়া উচিত ছিল না এবং আইনত তার যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা করা উচিত। কিন্তু সেই মেয়েরা যেখানেই থাকুক না কেন, তারা যেন স্কুলে ফেরত আসে। তাদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দিতে শিক্ষকদের বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) দাউদ হোসেন চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটোয়ারি দুলাল, মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুরের সভাপতি ডা. এসএম সহিদুল্লা ও প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনকি কর্মকর্তা ও কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।