নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর সততা, সাহস ও দূরদর্শিতার জন্য আজ সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, এখন প্রতিটি সেক্টরেই উন্নতি হয়েছে।সবাই একটি প্রশ্ন করে তোমাদের প্রধানমন্ত্রী কিভাবে দেশটা এই পর্যায়ে নিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র সাড়ে ৪শ ডলার। আর ১১ বছর পর এই আয় দাঁড়িয়েছে ২২২৭ ডলারে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর মতো দেশের প্রতিটি নাগরিককে পরিশ্রম করতে হবে। সবার ঐক্যান্তিক পরিশ্রম দেশকে আরো উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবে।নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার আইটি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। একইসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় ২২টি ইউনিয়নে কানেক্টিভিটি উদ্বোধন করা হয়।শনিবার (১০ অক্টোবর) নবাবগঞ্জ উপজেলার ওয়াসেফ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জনাব সালমান ফজলুর রহমান, এমপি। অনুষ্ঠানটিতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আজকে নবাবগঞ্জের প্রতিটি বাড়ি বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত, এখানে ফ্রিল্যান্সাররা উচ্চ গতির ইন্টারনেট চায়, শিক্ষকগণ আরও বেশি কম্পিউটার ল্যাব চায়। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের দাবি হল- এখানে যেন আরও আধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ আসে তার জন্য তারা হাইটেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার চায়। অথচ ১২ বছর আগে এই এলাকার মানুষের দাবি ছিল বিদ্যুতের সংযোগ, রাস্তার মেরামত এবং কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ করা। এই দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী পূরণ করেছেন বলেই কিন্তু উন্নত জীবনে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন দাবি উত্থাপন হচ্ছে আজকে। ’কেন ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ২১ বছর বঙ্গবন্ধুর খুনিরা শাসনের নামে শোষণ করেছেন; তাদের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেন তাদের সময় উন্নয়ন হলো না, আর এখন হয়েছে। কি ম্যাজিক জননেত্রী শেখ হাসিনার আছে যে একটা দরিদ্র রাষ্ট্রকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করতে পারলেন। এর প্রথম কারণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সততা, দ্বিতীয় হল সাহসিকতা এবং তৃতীয় হচ্ছে তার দূরদর্শিতা। তিনি সৎ, সাহসী এবং দূরদর্শী হওয়ার কারণেই বাংলাদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে এত এগিয়ে গিয়েছে।দোহারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে এসে আমার মনে হচ্ছে ঢাকারই অন্য একটি এলাকায় এসেছি। ঢাকার গুলশান-বনানী আর নবাবগঞ্জের বাজার, মার্কেট, শপিং মল তেমন কোনো পার্থক্য নেই। এই শহর এবং গ্রামের পার্থক্য দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ১২ বছরের মধ্যে একটা দরিদ্র রাষ্ট্র থেকে মধ্যম আয়ের মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ’সবশেষে, উপদেষ্টা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় ২২টি ইউনিয়নে কানেক্টিভিটি উদ্বোধন করেন।