রাজধানীর পুরান ঢাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সাধারণত আবর্তিত হয় কয়েকটি খাতকে ঘিরে। এসব খাত একদিকে যেমন অর্থনীতিতে অবদান রাখছে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানেও রাখছে ভূমিকা।সেদিক থেকে এখন এই বাজারে ইলেকট্রিক ব্যবসার প্রসার বেড়েছে। গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান। ইলেকট্রিক পণ্যের অব্যাহত চাহিদা বৃদ্ধিতে রাজধানীর এই বাজারটি এখন নিজগুণে অনন্য।সরেজমিনে কাপ্তান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের পাশ থেকেই শুরু হয়েছে সারি সারি দোকান। ইলেকট্রিকের এমন কোনো পণ্য নেই, যা এখানে পাওয়া যায় না। আছে প্রায় সব রকমের মুরগি আর বিভিন্ন ধরনের কবুতর। মাছ বা সবজি ব্যবসার দিক থেকেও পিছিয়ে নেই। প্রতিদিনই সারা দেশের খুচরা কিংবা পাইকারি ব্যবসায়ীরা পণ্য কিনতে ভিড় করছেন বাজারটিতে।স্থানীয়দের মতে, অতীতের তুলনায় এই বাজারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নির্মাণে এসেছে পরিবর্তন। গড়ে উঠছে নতুন নতুন ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই সারা দেশ থেকে হাজার হাজার ব্যবসায়ীর আগমন হচ্ছে এখানে। ফলে বাজারটি এলাকার অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকায় ধীরে ধীরে এক সময় জৌলুস ফিরে পাচ্ছে কাপ্তান বাজার। এ প্রসঙ্গে বাজারের ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ীর মধ্যে অবস্থিত এই বাজার এক সময় ভাঙতে বসেছিল। বিচ্ছিন্নভাবে বেচাকেনা চলতো।তারা বলেন, কাদা পানি এবং রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় ক্রেতারা আসতে চাইতো না। ফলে বিক্রিও কম হতো। তবে এখন আধুনিক সুযোগ সুবিধা এবং যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বাজারের চাহিদা বেড়েছে। আগের তুলনায় বাজারের পরিবেশ এখন অনেক ভালো। আশা করা যায় এটি আরও ভালো অবস্থানে আসবে।