আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ব্রিটিশ-তানজানিয়ান ঔপন্যাসিক আব্দুল রাজাক গুরনাহ।নোবেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আফ্রিকার উপসাগরীয় অঞ্চলের শরণার্থীদের বিড়ম্বনা এবং বিভিন্ন মহাদেশের বিবিধ সংস্কৃতি ও ঔপনিবেশিকতার প্রভাবকে আপসহীন গভীর মানবিক অন্তর্দৃষ্টিতে তুলে এনেছেন তিনি।বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেল ঘোষণা করে।তানজানিয়ার জানজিবায় ১৯৬৮ সালে জন্ম নেওয়া আব্দুল রাজাক গুরনাহ যুক্তরাজ্যে সাহিত্য চর্চা করছেন।এর আগে ২০২০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান যুক্তরাষ্ট্রের কবি ল্যুইস গ্লুক। সরল ও সৌন্দর্যময় সুস্পষ্ট কাব্যিক কণ্ঠস্বরের জন্য তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।চলতি বছর ৪ অক্টোবর চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে ২০২১ সালের নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড জুলিয়াস এবং লেবাননের আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।৫ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান জাপান, জার্মানি ও ইতালির তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- আবহাওয়াবিদ সিউকুরো মানাবে, পদার্থবিদ ক্লাউস হাসল্মান্ এবং সমুদ্রবিজ্ঞানী জর্জিও পারিসি। বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্বাভাস দেওয়া এবং কমপ্লেক্স ফিজিক্যাল সিস্টেম সম্পর্কে বোঝাপড়ার বিষয়ে যুগান্তকারী অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।৬ অক্টোবর জৈব-অনুঘটন বিক্রিয়া আবিষ্কারের জন্য রসায়নে নোবেল পান জার্মানির বেনিয়ামিন লিস্ট ও যুক্তরাজ্যের ডেভিড ডব্লিউ সি ম্যাকমিলান।আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৮ অক্টোবর শান্তি এবং ১১ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেলের উইলের মাধ্যমে এ পুরস্কারের প্রবর্তন হয়। তার রেখে যাওয়া তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার দিয়েই শুরু হয় পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া। পরবর্তীকালে ১৯৬৮ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। তবে পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক এবং এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার (১ কোটি ১৪ লাখ ডলার) অর্থ পেয়ে থাকেন।
আল ইমরান, বগুড়া : বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময় সরকার পরিবর্তন হইলে অনুমোদন বন্ধ হয়। ফলে আলোর মুখ দেখেনি বগুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়,