নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।রোববার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিম এ রায় ঘোষণা করেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বোমা মিজান ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাবেদ ইকবাল। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন জাবেদ ইকবাল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বোমা মিজান এখনও পলাতক।চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ বলেন, আদালতে বোমা হামলা মামলায় বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। আরেক আসামি জাবেদ ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালতে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের শুনানি শেষে রোববার (৩ অক্টোবর) রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। আদালত সূত্র জানায়, ১৬ বছর আগে ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর আদালতের পুলিশ চেকপোস্টে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এতে পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী ফুটবলার শাহাবুদ্দীন আহমদ নিহত হন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় ও চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৬ সালের ১৮ মে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হলে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। এর মধ্যে মামলার তিন আসামি জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এবং জেএমবির সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানির অন্য একটি মামলায় ফাঁসির আদেশ হলে এ মামলা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়। অপর দুই আসামির মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান পলাতক ও জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।