নিজস্ব প্রতিবেদক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে ধানমন্ডি থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে।মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাসেল-শামীমা দম্পতিকে আদালতে হাজির করা হবে।ডিএমপির ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ দম্পতির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে এক ভুক্তভোগী। তবে এ মামলার তদন্ত করতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এজন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।এদিকে গুলশান থানা পুলিশ জানিয়েছে, থানায় দায়ের করা মামলা তদন্তের স্বার্থে আদালতের অনুমোতি ক্রমে তিনদিনের রিমান্ডে এনে রাসেল-শামীমা দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হবে।এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদুল ইসলাম বলেন, তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আবার আদালতে হাজির করা হচ্ছে। তবে এদিন তাদের রিমান্ডের জন্য আর আবেদন করা হবে না।এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি ৪২০, ৪০৬, ৫০৬ ধারায় নথিভুক্ত করে পুলিশ। মামলায় ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক ভুক্তভোগী একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন বিকেলেই রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গুলশান থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।