নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে (ইইউ) বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূত রেনসে তেরিংক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।এ সময় তারা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতেও ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক অব্যহত থাকবে, আরও শক্তিশালী হবে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবেশের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে সংযুক্ত করেছে।ইইউ দূত বলেন, জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ইইউ সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, নদী ভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে। বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান নিয়েছে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করবে।রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি এখন বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের অনেকে সমাজবিরোধী কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে।শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ টিকার বিষয়ে আগ্রহ দেখানোয় তার সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে।এ সময় সফলতার সঙ্গে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ইইউ দূত। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোকে সহায়তা করতে তার দেশ নেদারল্যান্ডসেরর কিছু উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনা রয়েছে। এ ইস্যু মোকাবেলায় তার দেশে বিশেষজ্ঞ আছেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারেন।বাংলাদেশকে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে উল্লেখ করে পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রশংসা করে ইইউ দূত বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্কে কাজ করেছে।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাম্ব্যাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।