নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলতে যাচ্ছে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে স্কুল ও কলেজগুলোকে।মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে পাঠদান কর্মসূচি চালু করার আগে কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝি থেকে দেশে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে এই ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে সেদিন থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কর্মসূচি আবারও চালু হতে যাচ্ছে।রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী মাজেদুল ইসলাম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার শ্রেণিকক্ষে ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। বেঞ্চ ও চেয়ারের পাশাপাশি জানালার গ্রিলের জং উঠানো হচ্ছে। নতুন করে রং করা হবে সেগুলো।প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম বলেন, দাপ্তরিক কাজের জন্য অফিস রুম আর টিচার্স রুম খোলা ছিল। তবে ক্লাসগুলো অনেক দিন বন্ধ ছিল। তাই এগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে।পল্লবীর আরেক স্কুল এমডিসি মডেল ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের মাঠও পরিষ্কার করা হচ্ছে। সেখানকার শিক্ষক জামিল আহমেদ বলেন, আমাদের এখানে ভবন এলাকা ছাড়াও বড় মাঠ রয়েছে। এর বিভিন্ন অংশে গাছপালা আছে। অনেক দিন বন্ধ থাকার কারণে মাঠের ঘাস বড় হয়েছে, গাছের জংলা বড় হয়েছে। সেগুলোও আমরা পরিষ্কার করছি। ক্লাসের কিছু বেঞ্চ নষ্ট বা ভঙ্গুর অবস্থায় পাচ্ছি। সেগুলো মোট কতগুলো সেগুলো চিহ্নিত করে নতুন বেঞ্চের ব্যবস্থা করছি।শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা এলে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও কাজ করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। চেরি ব্লজম নামের একটি স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, জীবাণুনাশক টানেল বসানোর কাজ চলছে।প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক রাফিয়া সুলতানা বলেন, আমরা গেটের মুখে জীবাণুনাশক টানেল বসাচ্ছি। স্কুলে যারাই প্রবেশ করবে তারা এই টানেল দিয়ে প্রবেশ করবে। তারপর আবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা আছে, সেটা ব্যবহার করেই ঢুকতে হবে। আর ক্লাসেও কীভাবে শিক্ষার্থীদের একে অপরের থেকে যথাসম্ভব দূরে রেখে বসানো যায় সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছি আমরা।