নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) এবং সফটওয়্যার সেবা নিতে পারে উজবেকিস্তান। দেশটির গবেষণা ও উন্নয়নেও অংশীদার হওয়ার আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের।আগামী অক্টোবরে এসব বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে দেশটির রাজধানী তাসখন্দ সফর করছে ১৪ সদস্যের একটি বাংলাদেশি দল। সফরের অংশ হিসেবে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যকার এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।বৈঠকে উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল টেকনোলজি উপদেষ্টা অলিমজন ইমারাভ ও উদ্ভাবনী উন্নয়ন মন্ত্রী ইব্রোখিম ওয়াই আবদুর আখমনভের সঙ্গে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ব্যবসায়ী দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আর উজবেকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকেই আইসিটি প্রতিমন্ত্রী প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরে প্রযুক্তি দক্ষ জনশক্তি আকর্ষণের পাশাপাশি বিনিয়োগ সম্ভাবনার তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।তিনি যৌথ অংশদারত্বের মাধ্যমে দেশটির প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। উজবেকিস্তান চাইলে দেশটিকে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহায়তার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উভয় পক্ষের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়া সফররত বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সমরখন্দের গভর্নর এরকিনজন তুরদিমভের ও রোববার বুখারার গভর্নর ওকতাম বারনয়েভের মধ্যে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে।বৈঠকে গবেষণা এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উজবেকিস্তান অল্পদিনেই কীভাবে এত অগ্রগতি অর্জন করেছে তা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেছেন উজবেকিস্তানের কর্মকর্তারা।আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন বৈঠকে। তিনি বলেন, উজবেকিস্তান আমাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি সহযোগিতা চেয়েছে। বিনিয়োগেরও প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাব ও সম্ভাবনাগুলো যাচাই করে উজবেকিস্তানের সঙ্গে প্রযুক্তি, জনবল কিংবা সেবা বিনিময়ে চুক্তি হবে।২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উজবেকিস্তান হতে পারে রপ্তানি গন্তব্য।সোমবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে ।