আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের সমস্ত এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবানরা। শুধু বাকি ছিল রাজধানী কাবুল থেকে ১২৫ কিলোমিটার উত্তরের পানশির উপত্যকা।গত কয়েকদিন যাবত বিরোধী ন্যাশনাল রেসিসটেন্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তানের (এনআরএফ) সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের পর এবার সেখানেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করেছে তালেবান।সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে আফগানিস্তান এখন পুরোপুরি যুদ্ধের জঞ্জাল মুক্ত হলো।পানশির উপত্যকায় দেড় লাখ থেকে ২ লাখ মানুষের বসবাস। টানা কয়েকদিন ধরেই বিরোধী এনআরএফের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ চলার পর সোমবার তালেবানের এক মুখপাত্র সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করে বলেন, এই জয়ের মাধ্যমে সারাদেশের নিয়ন্ত্রণ এখন আমাদের হাতে।তবে তালেবানরা পানশিরের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা বললেও এনআরএফ সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এনআরএফ-এর মুখপাত্র আলি মাইসাম বলেন, এটা সত্য নয়। তালেবানরা পানশিরের নিয়ন্ত্রণ নেয়নি। আমি তালেবানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করছি।এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে পানশিরের প্রাদেশিক গভর্নরের ভবনের গেটের সামনে অবস্থান করছেন তালেবান যোদ্ধারা।এর আগে, এর আগে যুদ্ধে এনআরএফ মুখপাত্র ফাহিম দাশতি এবং নিজের ভাতিজা জেনারেল আবদুল উদোদ জারা নিহতের পর এনআরএফ নেতা আহমেদ মাসুদ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) শান্তি আলোচনায় রাজি আছেন বলে জানান।হেলিকপ্টার থেকে হামলার পর আরেক বিদ্রোহী নেতা সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহকে নিজ বাড়ি থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। দৃশ্যত যুদ্ধে অনেকটা কোণঠাসা আহমেদ মাসুদ শান্তি আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, সংকট সমাধানে ধর্মীয় নেতারা সংলাপের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটা তিনি স্বাগত জানান।আহমেদ মাসুদ বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তালেবান পানশির এবং পার্শ্ববর্তী বাঘলান প্রদেশের আন্দারাব জেলায় সামরিক অভিযান এবং হামলা বন্ধ করলে, এনআরএফ হামলা বন্ধে প্রস্তুত আছে। ’অবশ্য এনআরএফ নেতার বক্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক তালেবানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও এর আগে তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চায় বলে জানিয়েছিল।